গত বৃহস্পতিবার উত্তরে রাজবংশী–গড় কোচবিহার ও দক্ষিণে মতুয়া–গড় ঠাকুরনগরে সভা করেছেন অমিত শাহ। আর তার পর আজ, শনিবার ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রথম জনসভা। এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মন্দিরবাজারের সভায় ফের অমিত শাহকে আক্রমণ করলেন অভিষেক। আর সেটা করলেন নাম নিয়েই। একইসঙ্গে তিনি আরও একবার বিজেপি–র বিরুদ্ধে সরব হলেন ‘বহিরাগত’ ইস্যুতে।
অমিত শাহকে উদ্দেশ্য করে অভিষেকের কটাক্ষ, ‘আপনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ইডি–সিবিআই আপনার কথায় উঠছে বসছে। আর আপনি আমার নাম নিতে পারছেন না এত ভয়? এ ডর হামকো আচ্ছা লাগা!’ এর পরই তিনি নাম নিয়ে বলেন, ‘অমিত শাহ বহিরাগত, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত, রাজনাথ সিং বহিরাগত।’ কেন বহিরাগত তাঁরা? অভিষেক সভায় আক্রমণের সুরে বললেন, ‘আমফানে ঘূর্ণিঝড়ের সময় তো এদের কাউকে বাংলায় দেখা যায়নি!’
বহিরাগত নেতাদের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না— এ কথা বলেই এদিন বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করেন তৃণমূল যুব সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘এই লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার লড়াই নয়। বহিরাগতদের বাংলা থেকে বিতাড়িত করার লড়াই। উত্তরপ্রদেশ–সহ অন্য রাজ্যের সব বহিরাগত নেতাদের গুটখার থুতুতে বাংলার লোহায় জং ধরবে না। ওরা আসবে, খাওয়া–দাওয়া করবে, মে মাসে রেজাল্ট বেরোবে আবার সবকটাকে প্যাক করে গুজরাট আর উত্তরপ্রদেশে পাঠিয়ে দেবে বাংলার মানুষ।’
জে পি নড্ডাকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি তো বাংলার মানুষের কাছে ভিক্ষা চাইছেন। বলছেন, একবার বিজেপি–কে ক্ষমতায় আনুন, তা হলে প্রত্যেক কৃষককে ১৮ হাজার টাকা করে দেব।’ অভিষেকের দাবি, ‘বিজেপি নেতারা বাংলার মানুষকে কিনতে এসেছে। বাংলার মানুষ কি হাটের গরু–ছাগল?’