চতুর্থ দফার ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল বীরভূমের নানুর। বিজেপি–তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘর্ষে বেপরোয়া বোমাবাজি শুরু হল। এমনকী এলাকা থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমাও। তৃতীয় দফার ভোট মিটতেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে রাতভর নানুরের সিঙ্গি গ্রামে চলল বোমাবাজি। সিঙ্গি গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনেই চলে বোমাবাজি। সকালে পঞ্চায়েতের সামনেই তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায়। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
এই ঘটনায় গ্রামবাসীদের বক্তব্য, রাতভর এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি চলে। বোমার শব্দে ঘুম উড়ে যায়। সারারাত আতঙ্কে কাটাতে হয়। বিধানসভা নির্বাচনের আবহে বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নানুর। রোজ অশান্তির খবর মিলছে সেখান থেকে। তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে তপ্ত হয়ে ওঠে গ্রামের মাটি। ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে বোলপুর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ কর্মী শেখ ফকিরের ছেলে শেখ বাপন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডোম পাড়ায় ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, তখনই তাঁকে বেশ কয়েকজন মিলে ঘিরে ধরেন। শেখ বাপনকে ঘিরে ধরে তাঁকে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে চাপ দেওয়া হয়। শেখ বাপন জয় শ্রী রাম বলতে অস্বীকার করায়, তাঁর ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করা হয়। ছুরি দিয়ে মাথায় কেটে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
এই ঘটনার পরই বোমা পড়তে থাকে সিঙ্গি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে। এখান থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। গ্রামবাসীরা সকালে দেখতে পান, বিদ্যালয়ের সামনেই কয়েকটি তাজা বোমা পড়ে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ওই বিদ্যালয়ের পাশেই পঞ্চায়েত দফতর। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার মানুষ। শেষ দফায় ২৯ এপ্রিল ভোট নানুরে। এখন ভোটের আগেই বারবার উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নানুর। কোথাও বোমাবাজি হচ্ছে। আবার কোথাও উদ্ধার হচ্ছে বোমা। যা নিয়ে সরগরম রাজ্য–রাজনীতি।