গত ১০ মার্চ নির্বাচনী প্রচারে তাঁর পা জখম করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার নন্দীগ্রামে এক জনসভায় নাম না করে শুভেন্দুর দিকে আঙুল তুললেন মমতা। সঙ্গে শুভেন্দুকে বহিরাগত বলে দাবি করলেন তিনি।
এদিন মমতা বলেন, ‘আমি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাইরের মেয়ে? আর তুই ব্যাটা কাঁথির ছেলে হরিদাস, কী করে বেড়াস? তুই কবে হলি নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র ভাই? তোর তো এটা ভূমিও নয়, জমিও নয়। তুই তো দালালি করে গেছিস। সিপিএমের সাথে, বিজেপির সাথে দালালি করেছিস। তোকে সেচমন্ত্রী করেছি, পরিবহণ মন্ত্রী করেছি, তোকে পরিবেশমন্ত্রী করেছি। কী নেই? লঞ্চ থেকে শুরু করে পেট্রোল পাম্প থেকে শুরু করে কী নেই’?
এর পরই তাঁর পা জখম হওয়ার জন্য শুভেন্দুকে দায়ী করেন মমতা। বলেন, ‘ইলেকশনের সময় তুই আমার পা জখম করেছিস। তোমার নির্দেশ ছাড়া এজিনিস হতে পারে না। কোনও নন্দীগ্রামের লোক করেনি। বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে করিয়েছো তুমি’। সঙ্গে মমতার দাবি, নন্দীগ্রামে বিহার উত্তর প্রদেশের দুষ্কৃতীদের লুকিয়ে রেখেছেন শুভেন্দু।
গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে প্রচারের সময় আহত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করলেও পরে সুর নরম করেন তিনি। ওই ঘটনায় ২ দিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন মমতা। তার পর হুইলচেয়ারে করে প্রচারে বেরোন তিনি।