আর মাত্র পাঁচ দিন পর শাহরুখ খানের জন্মদিন। ২রা নভেম্বরের অপেক্ষায় অধীর আগ্রহে দিনগুনছে বাদশার ভক্তরা। এর মাঝে মঙ্গলবার বিকালে সকলকে চমকে দিয়ে টুইটারে #AskSRK সেশন আয়োজন করলেন শাহরুখ। আপতত কেকেআরেক সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে রয়েছেন তারকা। সেখান থেকেই অনুরাগীদের যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দিলেন কিং খান।
তবে অনুরাগীদের প্রশ্ন যেমন ছিল,তেমন পিছিয়ে ছিল না ট্রোলারও। শাহরুখকে এদিন এক নেটিজেন কটাক্ষের সুরে প্রশ্ন করে ‘ভাই মন্নত বেচনেওয়ালে হো ক্যায়া?’ (ভাই মন্নত বিক্রি করতে চলেছে নাকি?) এই প্রশ্নের সপাট জবাব দেন শাহরুখ। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন মন্নত বিক্রি করবার জিনিস নয়, বরং মাথানত করে প্রার্থনা করবার বিষয়। সেটা চেয়ে নিতে হয়। আর সেটা মনে রাখলেই জীবনে কিছু করে দেখানো সম্ভব হয় সেটাও চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন বাদশা। শাহরুখ লেখেন- ভাই মন্নত বিকতি নেই সর ঝুকা কর মাংগি যাতি হ্যায়… ইয়াদ রখোগে তো লাইফ মে কুছ পা সাকোগে'।
শাহরুখ খানের স্বপ্নের রাজপ্রসাদ 'মন্নত'। মুম্বইয়ের বান্দ্রার সবচেয়ে অভিজাত এলাকায় আরব সাগরের ধারে অবস্থিত এই মন্নত মায়ানগরীর অন্যতম আকর্ষন। মন্নতের বর্তমান বাজারদর প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
এর আগে রেডিও মিরচিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে শাহরুখ বলেছিলেন, 'আমি দিল্লি থেকে এসেছি,আমার কোনওদিন বাড়ি ছিল না। অল্প বয়সেই মা-বাবাকে হারাই। আমার স্বপ্ন ছিল আমারও একটা বড় বাড়ি হবে। আমি দিল্লির ছেলে তাই কোঠাবাড়ি আমার কাছে খুব সাধারণ জিনিস। মুম্বইতে সবাই অ্যাপার্টমেন্টে থাকে, এটাই এখানে প্রচলিত কিন্তু দিল্লিতে যদি তুমি খুব বেশি অবস্থাপন্ন নাও হও তাহলেও তোমার কাছে ছোট একটা কোঠাবাড়ি থাকতে পারে'।
শাহরুখ যখন প্রথম মুম্বইতে এসেছিলেন তাঁর স্ত্রী গৌরীকে নিয়ে, তাঁরা একটা ছোট অ্যাপার্টমেন্টেই থাকতেন,তাঁর শাশুড়ি প্রায়শই বলতেন সেটা খুব ছোট। অভিনেতা জনান, ‘আমার অনেকদিনের ইচ্ছা ছিল একটা বাড়ি কেনার। দেখনদারির জন্য নয়,আমি ভাবতাম মন্নত একটা সাধারণ কোঠাবাড়ি তাই আমি কিনে নেব’।
গত সপ্তাহেই শাহরুখ-গৌরী তাঁদের ২৯তম বিবাহবার্ষিকী সেলিব্রেট করলেন। এক ভক্ত এদিন শাহরুখকে প্রশ্ন করেন বিবাহ বার্ষিকীকে শাহরুখ কী উপহার দিলেন তাঁর মনের রানিকে?
শাহরুখ অকপটে জবাব দেন, ‘আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহারকে আমি আর কী উপহারই বা দিতে পারি’? শুধু পর্দায় নয় বাস্তব জীবনেও ‘কিং অফ রোম্যান্স’ শাহরুখ খান তা স্পষ্ট বলে দিচ্ছে এই জবাব।