নব্বইয়ের দশককে ভারতে স্বাধীন সঙ্গীতের জন্য সেরা পর্যায় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল সোনু নিগমের ‘বিজুরিয়া’ গানটি। দেখতে দেখতে ২৫ বছর কেটে গিয়েছে। সোনু নিগমের গাওয়া এমন একটি গান যা এখনও পপ সঙ্গীত প্রেমীদের প্লেলিস্টে রাজত্ব করে চলেছে।
রবি পাওয়ারের সুর করা এবং অজয় ঝিংরানের লেখা, মৌসম অ্যালবামের এই ড্যান্স নম্বর আজও নাচের ফ্লোরে সকলের পা কাঁপাবে মাস্ট। এ বিষয় হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিনিধিকে সোনু নিগম বলেছেন, ‘বিজুরিয়া আমার সবচেয়ে প্রিয় গানের মধ্যে একটি। ১৯৯৯ সাল থেকে এটা আমার জীবনের একটা অংশ। আমার ৯৯.৯ শতাংশ শোয়ে আমি এটা গেয়ে শোনাই। আসলে, আমি দু’দিন আগে ফুকেতে (থাইল্যান্ড) এটা পারফর্ম করেছি এবং উপস্থিত সকলে পাগল হয়ে গিয়েছিল। এই উন্মাদনা অতুলনীয়'।
আরও পড়ুন: ‘না’ বলেছেন মাহিয়া মাহি, তাই ‘ডার্ক ওয়ার্ল্ড’-এর অংশ হতে বাংলাদেশে কৌশানি
আরও পড়ুন: অভিনেতা নয়, বড় হয়ে কী হতে চায় তৈমুর? ছেলের কেরিয়ার স্বপ্ন এখনই ফাঁস করলেন সইফ
আরও পড়ুন: ফের রামমন্দিরে এলেন, করলেন রামলালার দর্শন, অযোধ্য়ায় কোন বিশেষ কাজে গেলেন অমিতাভ বচ্চন
গানটি কিসমত (১৯৯৮) অ্যালবাম থেকে গায়কের আরেকটি চার্ট-টপিং ড্যান্স হিট ‘তু কাব ইয়ে জানেগি’। এই গানের ভাবনা কীভাবে এসেছিল, 'পাপা মেরি জান' (অ্যানিম্যাল, ২০২৩) গায়ক বলেছেন, ‘মৌসমের লেখা একাট গান ছিল- তেরা ক্যাসা হ্যায় ইয়ে জলওয়া। অজয় জি এবং আমি রবি পাওয়ার জির বাড়িতে ছিলাম এবং আমি ভেবেছিলাম জলওয়া শব্দটি ছাড়াই অন্য কিছু থাকা উচিত, কারণ হর তরফ তেরা জলওয়া (তুনাক টুনাক তুন অ্যালবাম থেকে; ১৯৯৮) গানটি সবেমাত্র প্রকাশিত হয়েছিল। তারপর অজয় জি বিজুরিয়ার জন্য লিরিক্স লেখেন। শিবমণি (পার্কাসনিস্ট) রুপার্ট ফার্নান্ডেজ, বং শ্যাম রাজ জি (স্যাক্সোফোনিস্ট)-এর মতো সঙ্গীতশিল্পীরা গানটির জন্য অনবোর্ড ছিলেন’।
গানের সিগনেচার স্টেপ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে পদ্মশ্রী প্রাপক বলেছেন, ‘সরোজ খান জি (প্রয়াত কোরিওগ্রাফার) তু কাব ইয়ে জানেগি কোরিওগ্রাফি করেছিলেন। সুতরাং, তিনি জানতেন যে আমি প্রখর ভাবে শিখতে চাই এবং একজন গায়ক যে নাচতে চেয়েছিল। আমি তাঁকে বলেছিলাম বিজুরিয়ার কোরিওগ্রাফ করার সময়, তাঁর মনে রাখা উচিত তিনি এটি গোবিন্দার (অভিনেতা) জন্য করছেন। আমি খুশি যে যখন মঞ্চে পারফর্ম করি তখনও লোকেরা আমার বিজুরিয়ার সিগনেচার স্টেপের জন্য অপেক্ষা করে’।