গত বছর ভরাডুবি হয় আমির খানের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘লাল সিং চাড্ডা’র। জনপ্রিয় হলিউড অভিনেতা টম হ্যাঙ্কস অভিনীত ‘ফরেস্ট গাম্প’ অবলম্বনে তৈরি আমির খানের এই ছবি। কিন্তু মন ভরাতে পারেনি দর্শক ও সমালোচকের। ছবির ব্যর্থতার পরে প্রায় এক বছর প্রচারের আলো থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন আমির। অভিনয় থেকেও বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ‘লাল সিং চাড্ডা’র ব্যর্থতা নিয়ে মুখ খুলেছেন মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট। ছবিতে আমিরের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন করিনা কাপুর খান। পরিচালকের আসনে অদ্বৈত চন্দন। আরও পড়ুন: CCL ম্যাচের ফাঁকে ছুটে এসে মাকে চুম্বন সলমনের, ‘নজর যেন না লাগে’, বলছে নেটদুনিয়া
এবিপি আইডিয়াস অফ ইন্ডিয়ান সামিট 3.0-তে ছবির ব্যর্থতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে আমির বলেছেন, ‘আমার হৃদয়ের কাছের একটা ছবি। করিনা, অদ্বৈত এবং ছবির গোটা টিম প্রচুর পরিশ্রম করেছে, তবে কোনও ফল পাইনি আমরা। দুটো জিনিস ঘটেছে, বহু বছর পর আমার ছবি বক্স অফিসে অসফল। তাই পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব সকলে আমার বাড়িতে এসে জিজ্ঞেস করেছে, আমি ঠিক আছি কিনা। অনুভব করতে পেরেছিল, বড় অসফলতার পরেও প্রচুর মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটা কিন্তু বেশ মজার একটা দিক। কিন্তু বাস্তবটা দেখতে গেলে, ব্যর্থতা শিখিয়ে গিয়েছে তুমি কোন কোন জিনিসের মধ্যে দিয়ে যেতে পারো। বোঝার মতো অনুভূতি দিয়েছে যে গল্পটি বলার ক্ষেত্রে তোমার ভুল কী ছিল’।
অভিনেতার কথায়, ‘অনেক ভাবার পর বুঝতে পারলাম, এটা আমার জন্য বড় শিক্ষা। আমার মনে আছে কিরণে একবার বলেছিলাম, আমি ছবিতে অনেকগুলো ভুল করেছি, অনেকগুলো পর্যায়ে। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ ভুল শুধুমাত্র এই একটা ছবির ক্ষেত্রেই হয়েছে। মানসিকভাবে আমি খুব দুঃখ পেয়েছি ছবি চলেনি বলে। দুঃখটা সয়ে নেওয়ার জন্য নিজে সময়ও নিয়েছি’।
এ দিকে, ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া ছবির উপর ভর করেই সাফল্যের আশায় বুক বাঁধছেন খোদ আমির খান। তবে গত কয়েক মাস ধরে গুঞ্জন, আস্তে আস্তে অভিনয়েক ফেরার জন্য নিজেকে তৈরি করছেন আমির। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির জানান, তাঁর পরবর্তী ছবির নাম ‘সিতারে জমিন পর’। ছবির নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় তাঁরই হিট ছবি ‘তারে জমিন পর’-এর কথা। তবে কি ওই ছবির সিক্যুয়েল হতে চলেছে আমিরের নতুন ছবি? আমিরের কথায়, ‘আমার পরের ছবি ‘সিতারে জমিন পর’ আদপে ‘তারে জমিন পর’-এর মতোই একটা ছবি। তবে নতুন ছবিটা পুরনো ছবির চেয়ে ১০ গুণ এগিয়ে। ‘তারে জমিন পর’ দেখে দর্শক কেঁদে ফেলেছিলেন। ‘সিতারে জমিন পর’ দেখে যদিও মজা পাবেন তাঁরা।’