৭৬-এ পা দিলেন জয়া বচ্চন। নেটপাড়ায় ‘রাগী আন্টি’ কিংবা ‘খিটখিটে’ হিসাবেই পরিচিয় বচ্চন ঘরণী। তবে সেই নিয়ে একবিন্দু মাথাব্যাথা নেই তারকা সাংসদের। তিনি নিজের শর্তেই জীবন বাঁচেন। আলোচিত্রীদের ক্যামেরা দেখলে খেঁকিয়ে ওঠাটাই জয়ার স্বভাবসিদ্ধ আচরণ। আসলে জয়া বচ্চন মানেই মেজাজ সপ্তমে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যাঁকে ঘিরে এতচর্চা তিনি সমাজ মাধ্যম থেকে দূরেই থাকেন তিনি। আরও পড়ুন-বচ্চন পরিবারে চিড়! 'বাদ' ঐশ্বর্য-আরাধ্যা, মেয়ে-নাতনির সঙ্গে হোলি কাটল অমিতাভ-জয়ার
তবে মঙ্গলবার জয়ার জন্মদিনে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে শুভেচ্ছায় মুড়ে দিলেন কাছের মানুষরা। জয়ার জন্মদিনের সবচেয়ে বিশেষ বার্তা এল ছেলে অভিষেক বচ্চনের তরফে। অভিনেত্রীর একটি বহুপুরোনো সাদা-কালো ছবি শেয়ার করে জুনিয়র বি লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন মা, অনেক ভালোবাসা’। বিয়ের আগের সেই ছবিতে প্রিন্টেট শাড়ি আর খোলা চুলে দেখা মিলল সুন্দরী জয়ার। তাঁর চোখের মায়া জড়ানো চাউনি থেকে চোখ সরবে না। অভিষেকের তরফে মিষ্টি শুভেচ্ছা বার্তা এলেও এখনও খালি ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের ইনস্টাগ্রামের দেওয়াল।
এমনিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশেষ কোনও দিন বা উদ্দেশ্য ছাড়া পোস্ট করতে দেখা যায় না ঐশ্বর্যকে। তবে শাশুড়ির জন্মদিনের বেলা পাড় হয়ে সন্ধ্যে গড়াতেও নিঃশ্চুপ অ্যাশ। তাহলে কি রাই সুন্দরীর সঙ্গে জয়ার ঝামেলার জল্পনা সত্যি?
বচ্চন পরিবারে নাকি নিত্য অশান্তি! শাশুড়ি জয়া বচ্চন এবং ননদ শ্বেতা নন্দার সঙ্গে নাকি মোটেই পটছে না ঐশ্বর্যর। এর জেরেই নাকি টালমাটাল ঐশ্বর্য-অভিষেকের দাম্পত্য, মাস কয়েক ধরেই এমন গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়েছে বলিউডে। গত বছর বচ্চনদের দীপাবলি পুজোয় অংশ নেননি ‘বহুরানি’। মাস খানেক আগে অনুষ্ঠিত শ্বেতা নন্দার ৫০তম জন্মদিনের পার্টিতেও দর্শন দেননি অভিষেক-ঐশ্বর্য। এমনকি হোলির দিনেও অভিষেককে নিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে রঙের উৎসবে মেতেছিলেন ঐশ্বর্য-আরাধ্যা। বচ্চন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা যায়নি তাঁদের।
এদিন জয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চনও। পাঁচ দশক লম্বা তাঁদের দাম্পত্য জীবন। বেটার হাফের বার্থ ডে-তে ব্লগে লম্বা পোস্ট লিখেছেন প্রবীণ অভিনেতা।
'নানি' জয়ার সঙ্গে মিষ্টি ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্বেতা কন্যা নভ্যা নাভেলি কন্যা। এছাড়াও কাজল, অনন্য়া পাণ্ডের মতো অভিনেত্রীরা ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র অভিনেত্রীকে ৭৬তম জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
১৯৬৩ সালে কিশোরী জয়া সত্যজিৎ রায়ের বাংলা ছবি ‘মহানগর’-এ প্রথম অভিনয় করেছিলেন। সেই শুরু.. এরপর ১৯৭১ সালে ঋষিকেশ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘গুড্ডি’-তে অভিনয় করে বলিউডের নিজের জায়গা পাকা করেন। এরপর ‘অভিমান’, ‘উপহার’, ‘কোশিশ’, ‘কোরা কাগজ’, ‘জঞ্জির’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘মিলি’, ‘শোলে’, ‘সিলসিলা’, ‘গুড্ডি’, থেকে শুরু করে নতুন শতাব্দীতে ‘কাভি খুশি কাভি গম’, ‘কাল হো না হো’র মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।