জি বাংলা সোনার সংসারের মঞ্চে সেরা বরের পুরস্কার ছিনিয়ে নিয়েছেন ‘নিম ফুলের মধু’র সৃজন মানে অভিনেতা রুবেল দাস। যদিও সেই নিয়ে অনেকেই খুশি নন, কারণ কারণে-অকারণে বউকে অবিশ্বাস করাই সৃজনের কাজ। সে সেরা বর হয় কি করে? কিন্তু সেরা প্রেমিকের পুরস্কার বাস্তবে রুবেলের হাতে উঠতেই পারে!
শোবিজের দুনিয়ায় যেখানে প্রকাশ্যে প্রেম সম্পর্ক জাহির করেন না নায়করা। সেখানে উলটো পথের পথিক রুবেল। শ্বেতাকে ভালোবাসার কথা অস্বীকার করেননি কোনওদিন। ছেলেবেলার বন্ধু, তবে ‘যমুনা ঢাকি’র সেটে নতুন রং লাগে দুজনের সম্পর্কে। সারাক্ষণ শ্বেতাকে আগলে রাখেন রুবেল, আবার প্রেমিকের আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়ান শ্বেতা। বর্তমানে টেলিপাড়ার অন্যতম মিষ্টি জুটি তাঁরা। সোশ্যালেও সারাক্ষণ দুজনে ভালোবাসায় মজে।
শ্বেতার সামনেই এদিন পর্নার বরের হাতে উঠল পুরস্কার। প্রিয় বরের সম্মান নিয়ে রুবেল বলেন, ‘এই পুরস্কারটা শুধু আমার একার নয়, গোটা টিমের। প্রিয় বরের পুরস্কারটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেব। যবে সত্যিকারের বর হত তখন এটা (ইশারা অ্যাওয়ার্ডের দিকে) হাতছাড়া করব। দর্শকদের উদ্দেশে বলব এইভাবেই পাশে থাকবেন, আপনারা না থাকলে আমরা কিছুই নয়'।
এরপরই রুবেলকে চেপে ধরেন সঞ্চালক আবির। তাঁর প্রশ্ন, 'নিজে কী একটা বললে… (ভুলে যাওয়ার ভান রুবেলের) তোমার তো শেরওয়ানি পরার খুব ইচ্ছে! তা কবে শেরওয়ানিটা পরবে ভাই?'
রুবেল বলেন, ‘চলছে প্রস্তুতি চলছে’। তারপর আবির হাটে হাঁড়ি ভেঙে বলেন, ‘এমনই খবর ভেসে এসেছে। আমাদের সোনার সংসারের প্রিয় বর খুব শিগগিরই বাস্তব জীবনেও বর হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছে।’ এই কথা শুনে লাজে রাঙা শ্বেতা-রুবেল। এই মুহূর্তে জি বাংলারই ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে শ্বেতাকে। সেখানে তাঁর নায়ক রণজয় বিষ্ণু। টেলিপাড়ায় জোর জল্পনা ২০২৫-এর গোড়াতেই নাকি চারহাত এক হতে পারে শ্বেতা-রুবেলের। একটা সূত্র বলছে, আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি বিয়ে করবেন শ্বেতা এবং রুবেল। প্রস্তুতিও নাকি এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দুইপক্ষের।
আগামী বছরে বিয়ের কথা যে প্রাথমিক পর্যায়ে চলছে, তা মেনে নিয়েছেন রুবেলও। তবে তারিখ নিয়ে কিচ্ছু ভাঙেননি। রুবেলের আগে ৯ বছর ধরে একটা সম্পর্কে ছিলেন শ্বেতা। সেই প্রেমের কথাও ক্যামেরার সামনে খোলাখুলি জানিয়েছিলেন। পরে প্রেম ভাঙায় ট্রোলের মুখে পড়েন অভিনেত্রী। সেই নিয়ে শ্বেতার জবাব ছিল, তিনিই প্রেমে ধোকা খেয়েছেন। নিন্দকদের উদ্দেশে শ্বেতা জানান, 'যাকে ভরসা করে কথাগুলো বলেছিলাম, সে যদি মাঝপথে হাত ছেড়ে অন্যের হাত ধরে তাহলে তো জোর করে সেই সম্পর্কে থাকা যায় না'।