হিন্দুশাস্ত্র মতে গণেশ চতুর্থীর মাহাত্ম্য সর্বজন বিদিত। ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে এই বিশেষ পুজো আয়োজিত হয়। বিঘ্নহর্তা গণেশের পুজোয় বহু বাধা বিঘ্ন সহজে কেটে যায় বলে বিশ্বাস। মহারাষ্ট্র তথা দেশের বিভিন্ন মন্দির থেকে ঘরের বেদীতে প্রতিষ্ঠা করা হয় গণপতি বাপ্পাকে।
আজ থেকে শুরু হয়েছে গণেশোৎসব। অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডের বাড়িতে গণপতি বাপ্পার বড় করে পুজো হয়। তাই পাণ্ডে পরিবারের কাছে সাধারণত এটি একটি ব্যস্ত দিন। হিন্দুস্তান টাইমস সিটি পৌঁছে গিয়েছিল অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডের বাড়ির পুজোর খবর নিতে। অভিনেতা চাঙ্কি পাণ্ডে, তাঁর স্ত্রী ভাবনা এবং মা চিত্রা খোসলা স্বাগত জানান। শ্যুটিংয়ে যাওয়ার আগে খানিক আড্ডা জমান অভিনেত্রী অনন্যা পাণ্ডে। আরও পড়ুন: লং কোট, বডিকন ড্রেসে সোনম! ফ্যাশন শোয়ে চমকে দিচ্ছেন বায়ুর মা
বাড়ির পুজোর ঘরের মেয়ের মতোই সেজেছিলেন অনন্যা। অভিনেত্রীর পরনে হলুদ শাড়ি এবং নীল রঙের ব্লাউজ। বছর ২৪-এর অভিনেত্রীর কথায়, ‘গণেশোৎসব সবসময়ই আমার প্রিয় উৎসব’।
অনন্যা বলেছেন, 'আমি যখন ছোট ছিলাম, আমরা স্কুলে এই (গণেশ চতুর্থী) উদযাপন করতাম। আমি আমার বন্ধুদের বাড়িতেও যেতাম। আমি সবসময় বাপ্পার সঙ্গে একটা একটি সংযোগ অনুভব করেছি; এক সময় তিনি আমার মোবাইলের ওয়ালপেপার ছিলেন! সবসময় তাঁর চোখের দিকে তাকিয়ে খুব শান্ত অনুভব করি। ছোটবেলায়, আমি আমার মাকে জিজ্ঞাসা করতাম, 'আমরা কখন তাঁকে বাড়ি নিয়ে আসব?' এবং প্রতি বছর, মা বলতেন, ‘যখন তুমি আচারগুলি করার জন্য যথেষ্ট দায়িত্ব নিতে পারবে’।
সলটা ২০১৮। বলিউডে ডেবিউ ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২’-এর শ্যুটিংয়ের সময়ই প্রথম অনন্যার বাড়িতে গণেশ পুজো হয়। অনন্যা জানিয়েছেন, ‘তিনি (ভাবনা) বলেছিলেন, ‘তুমি এখন প্রস্তুত’। এখন মনে হয় বাপ্পাকে বাড়িতে আনার জন্য বছরের পর বছর এই প্রচলন চলবে। এটা আমাদের পঞ্চম বছর’।
পাণ্ডে পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁরা পরিবেশ বান্ধব গণপতি মূর্তি বেছে নেন। তাঁদের ব্যস্ত সময়সূচীর কারণে, প্রচলিত ১০ দিনের পরিবর্তে সাধারণত দেড় দিনের জন্য প্রতিমা রাখেন বাড়িতে।
অভিনেত্রীর কথায়, ‘কিন্তু, সেই সময়ের মধ্যে, বাপ্পার আশেপাশে সবসময় কেউ না কেউ থাকেন। আমরা খাওয়ার আগে সবসময় বাপ্পাকে খাওয়াই। প্রতিমা বাড়িতেই নিমজ্জিত হয়, একটি বিশেষ ড্রামে’। আরও জানিয়েছেন, ‘আমরা সবাই বারান্দায় গান বাজিয়ে নাচ করি। ওই জলই বাগানের গাছে দিয়ে দিই। তাই সারা বছর আমাদের সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে এক টুকরো বাপ্পা থাকেন’।