বাঙালির কাছে সরস্বতী পুজোর আনন্দটাই আলাদা। প্রত্যেক বছরই এই দিনে যে যার নিজের মতো করে আনন্দটা চেটেপুটে নেন। এবার আবার একই দিন সরস্বতী পুজো এবং ভ্যালেন্টাইনস ডে। টলিপাড়াতেও বিভিন্ন প্রযোজনা সংস্থার অফিসে সরস্বতী পুজো বেশ ঘটা করেই সেলিব্রেট করা হয়। এবারও হয়েছে।
সরস্বতী পুজোয় জমিয়ে মজা করেছেন 'কথা' সিরিয়ালের অভিনেতা, কলা-কুশলীরা। ওই দিন তাঁরা শ্যুটিং করেছেন ঠিকই, তবে শ্য়ুটের ফাঁকেই হয়েছে পিকনিক, খাওয়া-দাওয়া। সরস্বতী পুজোর দিন 'কথা' সিরিয়ালের সেটে পিকনিকের আনন্দ উঠে এল অভিনেতা সাহেব ভট্টাচার্যের ক্যামেরায়। ফেসবুকের পাতায় সাহেবের পোস্ট করা ছবিতে সকলকে একসঙ্গে খেতে বসতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে রয়েছেন সাহেব ভট্টাচার্য, তাঁর পাশে একদম প্রথমেই বসে রয়েছেন সুমন্ত মুখোপাধ্যায়। রয়েছেন অভিনেত্রী তনুকা চট্টোপাধ্যায়, সুস্মিতা দে সহ ছবির অন্যান্য অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। তাঁরা সকলেই টেবিল-চেয়ারে খেতে বসেছেন, এছাড়াও ইতিউতি দেখা যাচ্ছে আরও অনেককেই।
কী ছিল ‘কথা’ সিরিয়ালের তারকাদের পিকনিকের মেনুতে?
সরস্বতী পুজোর পিকনিক, তাই মেনুতে পুরোটাই নিরামিষ। রয়েছে খিচুরির সঙ্গে আলুভাজা, বেগুনভাজা, পাঁপড় ভাজা বাঁধাকপির তরকারি আর চাটনি। ছবি পোস্ট করে ক্যাপশানে সাহেব লিখেছেন, 'আমাদের স্টুডিওতে সরস্বতী পূজা পিকনিক। যে পরিবার একসঙ্গে তাঁরা একসঙ্গেই খাবার খাচ্ছে। খাওয়াদাওয়ার সময় সকলকেই যে যাঁর চরিত্রের মেকআপে দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ শ্য়ুটিংয়ের লাঞ্চ ব্রেকেই খেতে বসেছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন-রেভ পার্টিতে সাপ ও সাপের বিষ সরবরাহের অভিযোগ, ফের বিপাকে বিগ বস ওটিটি ২ জয়ী এলভিস যাদব!
সাহেব ভট্টাচার্যের এই পোস্টে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। একজন লিখেছেন, ‘আমি এই সিরিয়াল খুবই পছন্দ করি।’ সাহেবের এক বাংলাদেশের অনুরাগী বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ থেকে তোমার অভিনয় দেখেই প্রেমে পড়ে গিয়েছি।’, কেউ লিখেছেন, ‘খুবই ভালো’, কেউ আবার খেয়াল করেছেন, সাহেব সবার সঙ্গে বসলেও তাঁর সামনে প্লেট নেই। এই সমস্ত অনুরাগীদের কমেন্টের আলাদা আলাদা করে উত্তরও দিয়েছেন সাহেব।
প্রসঙ্গত, গতবছর নভেম্বরে শুরু হয়েছিল স্টার জলসার এই ধারাবাহিক 'কথা'। যেখানে কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করছেন সাহেব ভট্টাচার্য ও সুস্মিতা দে। সিরিয়ালে 'কথা' সুস্মিতার চরিত্রটা একজন গাছপ্রেমীর। দিনের গোটা সময়টাই তাঁর কাটে গাছের সঙ্গে। বাগান সাজানো শুধু তাঁর শখ নয়, ভালোবাসা। গোয়ালা তার বাড়িতে দুধ নয়, বালতি ভর্তি করে আনে গোবর। যা সে করমচা হিসাবে গাছে দেবে। পাশের বাড়ির প্রতিবেশী ডাকে মিস গোবর দেবী নামে। অন্যদিকে অগ্নিভ সাহেবকে দেখা যাচ্ছে রান্না প্রেমী হিসাবে।