স্বাধীনতা দিবসে খারাপ খবর ভাদুর ভক্তদের জন্য! হাসপাতালে ভর্তি অভিনেত্রী মিষ্টি সিং। এদিন হাসপাতালের বিছানা থেকে ছবি দিতেই উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। জানা গেল, সোমবার ‘দিদি নম্বর ১’-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন মিষ্টি। শ্যুটিং সেটেই অসুস্থবোধ করেন অভিনেত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে। সেইসময় গায়ে ১০৩ ডিগ্রী জ্বর ছিল নায়িকার। তাই কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাননি মিষ্টির স্বামী। স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে দেন তিনি। আরও পড়ুন-ভেঙেছে প্রেম! বান্ধবীর বরের সঙ্গে একান্ত যাপন দেবচন্দ্রিমার, মিষ্টিকে সতর্ক করল নেটিজেন
খবর, মিষ্টির স্বামীও সপ্তাহখানেক আগে জ্বর নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। অসুস্থতা নিয়ে মিষ্টি জানান, ‘গায়ে জ্বর নিয়েই শ্যুটিং করছিলাম। ওষুধ খেয়েও জ্বর কমেনি। বরং সেটে গিয়ে আরও বাড়াবাড়ি হয়। সেইসময় রেমো আর আমার দিদি আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়’। হাসপাতালে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে মিষ্টিকে, এখন খানিকটা সুস্থ অভিনেত্রী। জ্বর কমেছে তবে দুর্বলতা রয়েছে। চিন্তার কোনওকারণ নেই বলে অভিনেত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন চিকিৎসকরা। আজই হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবেন মিষ্টি।
এদিন হাসপাতালের বিছানা থেকে একটি ছবি পোস্ট করেন মিষ্টি। চায়ের কাপ হাতে পাওয়া গেল তাঁকে। কাঁচের জানালা দিয়ে শহর কলকাতাকে দু-চোখে বন্দি করছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখেন- ‘স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা, সকলে সুস্থ থেকো’। মিষ্টির এই ছবি দেখে উদ্বিগ্ন অনুরাগীরা। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, ‘তোমার কী হল?’ কেউ আবার তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।
গত মে মাসে রাজকীয় বিয়ের পর্ব সারেন মিষ্টি। ১৪ বছরের পুরোনো প্রেমিকের সঙ্গে চার হাত এক হয় তাঁর। যদিও দুজনের বন্ধুত্বের শুরু সেই নার্সারি স্কুলের বেঞ্চে। বাইপাসের ধারে একটি বিলাসবহুল হোটেলে বসেছিল বিয়ের আসর। মন্ত্রোচ্চারণ করে নয়, সই-সাবুদ করে বিয়ের পর্ব সেরেছেন তাঁরা। নবদম্পতিকে আর্শীবাদ করতে বিয়ের আসরে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চুটিয়ে প্রেম করলেও বিয়ের সপ্তাহখানেক আগেই সম্পর্কে থাকার কথা ফাঁস করেন মিষ্টি। আসলে সম্পর্কে কারুর নজর লাগুক এমনটা চাননি অভিনেত্রী। তাই ডুবে ডুবে জল খেয়েছেন! রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা রয়েছে রেমোর, একটি প্রোডাকশন কোম্পানিও রয়েছে মিষ্টির বরের।
‘আলতা ফড়িং’-এর পর ছোটপর্দা থেকে আপতত ছোট্ট ব্রেক নিয়েছেন ‘ভাদু’। খবর, টেন্ট সিনেমার আগামি সিরিয়ালে দেখা যেতে পারে তাঁকে।