টলিউডের খ্যাতনামা অভিনেত্রী পার্নো মিত্র। ৮ মার্চ, নারী দিবসের দিন মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন সিনেমা ‘বনবিবি’। রাজদীপ ঘোষের পরিচালনায়, রানা সরকারের প্রযোজনায় তৈরি হয়েছে এই ছবি। বহুদিন পর আবারও এই ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় ফিরছেন অভিনেত্রী। এই গল্প তৈরি হয়েছে সুন্দরবনের প্রেক্ষাপটে। অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতিও করেন পার্নো।
পিছন ফিরে দেখলে, ২০১৯ সালে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন একগুচ্ছ টলিউড তারকা। রূপাঞ্জনা মিত্র, কাঞ্চনা মৈত্র, রিমঝিম গুপ্ত, রূপা ভট্টাচার্য-সহ আরও অনেকে। তাঁদেরই মধ্যে অন্যতম ছিলেন পার্নো মিত্র। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একে একে অনেকেই দল ছেড়েছেন। কেউ ঘোষণা করেছেন কেউ আবার তা করেননি। আর পার্নো? বিজেপির সঙ্গে কি এখনও কোনও যোগ রয়েছে অভিনেত্রীর? সম্প্রতি সংবাদ প্রতিদিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পার্নো জানিয়েছেন, ‘আমি এখনও ছাড়িনি। তবে রাজনীতিতে এখন আর সক্রিয় নই, এটুকু বলতে পারি’।
এরপর সিনেমা না ছোটপর্দায় কোথায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে? পার্নো জানিয়েছেন, ‘যেটা হবে। যেটা ভালো লাগবে, বেছে নেব। ছবির মধ্যে অঙ্ক কি কঠিন মুক্তির অপেক্ষায়। আর রয়েছে সুজি কিউ'। আরও পড়ুন: কিছু দিন আগেই 'বাবা' হয়েছেন, নারী দিবসে মেয়ের ছবি প্রকাশ্যে এনে কী বললেন সৃজিত
সুন্দরবনে শ্যুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়েও কথা বলেছেন পার্নো। অভিনেত্রীর কথায়, ‘অসম্ভব স্ট্রাগল করতে হয়েছে। বলে বোঝাতে পারব না। ওই দশটা দিন ওখানে কীভাবে কাটিয়েছি, শ্যুটিং করে ফিরে এসেছি জানি না। ওখানে জলপথ ছাড়া অন্য কোনও ভাবে ট্রাভেল করা যায় না, ওটাই সবথেকে সহজ উপায়। সারাদিন লঞ্চেই বসে থাকতাম। ওখানে কোনও ভ্যানিটি ভ্যান নেই, বসার জায়গা বলতে লঞ্চই ছিল। ওখানেই ডাইনিং স্পেস, ভ্যানিটি ভ্যান, চেঞ্জিং স্পেস, সবকিছু ওটাই। কাদার মধ্যে হাঁটা বোধহয় সবথেকে শক্ত ছিল। পায়ের তলায় ক্রমাগত ম্যানগ্রোভের কাঁটা ফুটছে, কিন্তু স্বাভাবিক দেখাতে হবে নিজেকে, কারণ শট দিতে হবে। সব মিলিয়ে খুবই কষ্টকর ছিল’।
‘বনবিবি’র গল্প তৈরি হয়েছে সুন্দরবনের প্রেক্ষাপটে। ছবিতে পার্নো একজন বিধবা। আঞ্চলিক ভাষায় তাঁকে নাকি বলা হয় ‘বাঘ-বিধবা’। বনবিবির চরিত্রে রয়েছেন সোহিনী সরকার। গল্পের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী, বছর তিনেক আগে জীবিকার কারণেই বাইরে গিয়েছিলেন পার্নো ওরফে রেশমের স্বামী। আর ফেরেননি। শোনা যায়, তাঁর স্বামীকে বাঘে নিয়ে গিয়েছে। তাঁর মৃতদেহ পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর সুন্দরবন এলাকাতেই গাইডের কাজ করেন রেশম। যে সমস্ত পর্যটক সেখানে ঘুরতে আসে, তাঁদের সুন্দরবন ও আশেপাশের অঞ্চল ঘুরে দেখানোই তাঁর কাজ। গল্পে রেশমের জীবনে যেমন সংগ্রাম রয়েছে, তেমন রয়েছে প্রেমও। পার্নোর বিপরীতে এই ছবিতে অভিনয় করেছেন আর্য দাশগুপ্ত।