মহালয়ার দিন খাঁটি বাঙালি সাজে মোহময়ী নুসরত জাহান। আলতা রাঙা দু-হাত আর পা, পরনে লাল পাড় সাদা শাড়ি, পিঠখোলা ব্লাউজে যৌবনের ঢেউ খেলছে নায়িকার শরীরে, ভিজে চুল এলিয়ে দিতেই শত শত পুরুষ হৃদয়ের ধুকপুকানি বেড়ে উঠল!
বাওয়ালি রাজবাড়িতে ‘আগমনী’ স্পেশ্যাল এই শ্যুটিং সেরেছেন নুসরত। কখনও নিজেকে সাজাচ্ছেন কাজল আর লাল টিপে, কখনও পুকুর পাড়ে বসে পায়ে নূপূর পরছেন! অন্যদিকে শিল্পী খুব যত্ন সহকারে মৃণ্ময়ী মাকে সাজাচ্ছেন। প্রেক্ষাপটে বাজছে- ‘বাজলো তোমার আলোর বেণু’।
ধর্মের সার্বভৌমত্বের বার্তা এর আগেও বহুবার দিয়েছেন নুসরত, এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। কিন্তু ট্রোল পুলিশরাও চুপ করে বসে থাকবার পাত্র নয়। অভিনেত্রীকে জমিয়ে কটাক্ষ করল তাঁরা। কেউ নায়িকার ধর্ম তুলে আক্রমণ শানালো তো কেউ বডি শেমিং থেকে পিছপা হল না।
ইসলাম ধর্মাবলম্বী নুসরতের স্বামী হিন্দু। যদিও শুরু থেকে নুসরত বিশ্বাস করেন, 'ধর্ম যার যার, উত্সব সবার'। তাই তো দেবীপক্ষের সূচনায় মাতৃবন্দনায় ব্রতী নুসরত। নুসরত যেমন ইদে রোজা রাখেন, তেমনই দুর্গাপুজোর অষ্টমীর অঞ্জলি দিতেও ভোলেন না।
সমস্ত ধর্মের বিশেষ দিনগুলি সেলিব্রেট করেন বসিরহাটের তারকা-সাংসদ নুসরত জাহান রুহি। এদিন অনেকেই নুসরতের উদ্দেশে লেখেন, ‘তোমার নরকেও ঠাঁই হবে না। আল্লার অপমান করছো’। কেউ লেখেন, ‘নকল হিন্দু সেজে সনাতন ধর্মকে ছোট করা, ন্যাকামি’। অনেক নেটিজেন তো নুসরতের প্লাস্টিক সুন্দরী বলে ব্যাঙ্গ করেছেন। 'সার্জারি করিয়ে ঠোঁট নষ্ট করেছো' এমন অভিযোগ উঠে এল।
যদিও অভিনেত্রীর সমর্থনে এগিয়ে এলেথেন তাঁর ভক্তরা। নুসরতকে অসম্ভব সুন্দর লাগছে জানিয়েছেন অনুরাগীরা। এর আগে ট্রোল আর্মির নিশানায় পড়ে নুসরত স্পষ্ট জানিয়েছিলেন ‘ধর্ম বা বর্ণ নয়, মানুষ হিসেবে একে অপরকে গ্রহণ করার’ দরকার রয়েছে। আরও পড়ুন-করণের মোক্ষম চাল! সিনেমা হলে ‘ব্রহ্মাস্ত্র' দেখুন মাত্র ১০০ টাকায়! একই পথে ‘বিক্রম বেদা’?