গত কয়েকদিন ধরেই চর্চায় আছেন আহনা দত্ত ওরফে অনুরাগের ছোঁয়ার মিশকা। রিল লাইফের ভিলেনকে রিয়েল লাইফেও ভিলেন বানিয়ে ছেড়েছে নেটপাড়া। অল্প বয়সেই নিজের নাম করেছেন অহনা। নিজের সাবলীল অভিনয় দিয়ে ধারাবাহিকের সূর্য আর দীপার মতো তিনিও আলাদা পরিচিতি গড়ে নিয়েছেন। ভালোবাসাও পেয়েছেন দর্শকদের থেকে। তবে সব বদলে দেয় অহনার জন্মদিনের দিন তাঁর মায়ের করা একটি ফেসবুক পোস্ট। তারপর থেকে অনেকেই অহনাকে বানিয়ে দিয়েছেন, ‘বাস্তব জীবনের ভিলেন’। তবে এসবের মাঝেও প্রেমিকের সঙ্গে মাখোমাখো ছবি শেয়ার করে নিলেন মিশকা।
চাঁদনি গঙ্গোপাধ্যায় ‘মিশকা’ ও তাঁর প্রেমিককে কাঠগড়ায় তুলে লেখেন, ‘২০০৩-এ এই দিনটাই বেঁচে থাকার একটা মানে খুঁজে পেয়েছিলাম। সেটাও দীপঙ্কর রায় আমার থেকে কেড়ে নিল। আজ আমার চেয়ে খারাপ কেউ না। তাও বলবো বেঁচে থাকার অধিকারটাও যে কেড়ে নিল তার ভালো হোক, শুভ জন্মদিন।’
সবে ২০-তে পা দিয়েছেন অহনা। ছোটবেলা থেকে ‘একা মা’ চান্দনীর কাছেই বড় হওয়া। তবে সিরিয়ালে কাজ পেতেই দমদমের ফ্ল্যাট ছেড়ে চলে আসেন টালিগঞ্জে। প্রেম সম্পর্কে জড়িয়েছেন ‘অনুরাগের ছোঁয়া’র রূপটান শিল্পী দীপঙ্করের সঙ্গে। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই অহনা আর দীপঙ্করের ভালোবাসা মাখা ছবি চোখে পড়ে। কিন্তু অহনার মায়ের অভিযোগ অহনার প্রেমিককে নিয়ে। তাঁর দাবি দীপঙ্কর ‘বিবাহিত’। সোশ্যাল মিডিয়াও অহনার উপর ‘ঘর ভাঙার’ অভিযোগ তুলছে। যদিও অহনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন দীপঙ্করের সঙ্গে পারমিতা নামে মেয়েটির বিয়ে হলেও তাঁর সঙ্গে সম্পর্কে আসার আগেই দুজনের আইনি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাই বাস্তবে তিনি কারও ঘর ভাঙেননি।
অহনা আরও জানিয়েছেন, ‘আমার প্রেমটা মা মেনে নিতে পারেননি বলে এ কথা বলছেন।’ তবে এসবের মাঝেও শক্ত করে প্রেমিক দীপঙ্করের হাতটা ধরে আছেন অভিনেত্রী। ছাড়েননি তো বটেই। সঙ্গে বৃহস্পতিবার ভালোবাসার মানুষটির সঙ্গে ছবি দিয়ে করলেন একটি বিশেষ পোস্ট। আর সঙ্গে বেশ কড়া একটা বার্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা তাঁর হয়ে কুৎসা ছড়াচ্ছেন তাঁদের জন্য, নাকি নিজের মা-কে দেখিয়েই!
দীপঙ্করের সঙ্গে একটি মিরর সেলফি শেয়ার করলেন অহনা। তিনি পরে আছেন একটা গোলাপি রঙের শাড়ি। দীপঙ্করের নীল কুর্তা আর চোখে কালো সানগ্লাস। ছবির ক্যাপশনে অহনা লিখলেন, ‘প্রতিটা ঝড়ের শেষে আমার রামধনু হওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।’ পোস্টের কমেন্ট সেকশন লিমিটেড রেখেছেন অহনা। তাই কমেন্ট সেরকম না পড়লে অনেকেই তাঁর আর দীপঙ্করের ছবিতে এসে ‘হা হা’ রিয়্যাক্ট করে গিয়েছেন। অর্থাৎ, যা স্পষ্ট করছে অহনা যতই মুখে রামধনুর কথা বলুক, বিতর্কের কালো মেঘ এখনও বর্তমান।