উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ছোট্ট গ্রাম নাম চোপড়া, সেখানেই বড় হয়ে উঠেছেন ‘রকস্টার’ বুলেট। সারেগামাপা বাংলার মঞ্চ কাঁপিয়েছেন তিনি, এখন তিনি জাতীয় স্তরেও সবার প্রশংসা কুড়োচ্ছেন। বাংলা রক ব্যান্ডের অন্ধভক্ত ছোট থেকে। তবে সহজ ছিল না বুটেলের লড়াই। কিন্তু অদম্য জেদ সঙ্গে নিয়েই এখন জি টিভি সারেগামাপা-র মঞ্চে এই রকস্টার।
বুলেটের সবচেয়ে পছন্দের শিল্পীদের তালিকায় একদম উপর রয়েছেন নগরবাউল জেমস। বাংলাদেশের এই শিল্পীর গানেই সারাগামাপা-র মঞ্চ মাতালেন বুলেট। প্রীতমের সুর করা ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’ ছবির অলবিদা গান দিয়েই জেমসের পাওয়ারফুল আওয়াজকে চিনেছিল গোটা ইন্ডিয়া। আর সেই গানই এবার গাইলেন বুলেট।
সারেগামাপা-র সাম্প্রতিক এপিসোডে ‘অলবিদা’ গানে ফাটাফাটি পারফরম্যান্স দিলেন বুলেট। তাঁর গান শুনে স্থির থাকলে পারল না সহ-প্রতিযোগিরাও। সোনিয়া থেকে কাবো, সকলেই উঠে দাঁড়িয়ে নেচে উঠলেন। গান শেষে বুলেটকে স্ট্যান্ডিং ওভেশন দেন শো-এর তিন বিচারক হিমেশ রেশমিয়া, অনু মালিক এবং নীতি মোহন। অন্যদিকে বুলেটের গান শুনে জেমসকে মনে পড়ল নেটিজেনদের। হিট গান উপহার দেওয়া সত্ত্বেও হাতে গোনা গানই বলিউডের জন্য গেয়েছেন নগরবাউল জেমস। বুলেটকে দেখে নতুন করে সেই স্মৃতি তরতাজা নেটিজেনদের মনে।
এর আগে দ্যা ওয়ালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রক মিউজিকের প্রতি নিজের ভালোবাসা জাহির করে বুলেট বলেছেন, ‘ছোটবেলায় যখন এসব রক মিউজিক শুনতাম, তখন মনে হত এই ধরনের গান আমায় গাইতে হবে। এটাই যেন আমার কর্ম আমার ধর্ম। এর বাইরে আমি কিছু পারব না। মানে এই রক মিউজিকটাই আমার মধ্যে ছিল বরাবর। তবে গানের প্রথাগত শিক্ষা আমার ছিল না কোনওদিনই’।
শুধু গান নয়, নিজের লুক নিয়েও হামেশাই চর্চায় থাকে বুলেট। তাঁর হেয়ার স্টাইল থেকে পোশাক, সব নিয়েই চলে কাটাছেঁড়া। বুলেটের বিশ্বাস এই লুকটাই তাঁর পরিচিতি। রক গান গাইতে যে অ্যাটিটিউড দরকার, তার জন্য এই লুক থাকাটা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
এই বছর সারেগামাপা-র মঞ্চে ‘OG’ সিঙ্গারের খোঁজে রয়েছেন তিন বিচারক- অনু মালিক, হিমেশ রেশমিয়া এবং নীতি মোহন। গত বছর সারেগামাপা-র মঞ্চ মাতিয়েছিল বাংলার স্নিগ্ধজিৎ,অনন্যা, নীলাঞ্জনা,রাজশ্রীরা। এই ট্রেন্ড ফলো করেই এবার এই গানের রিয়ালিটি-শোর মঞ্চ কাঁপাচ্ছেন বুলেটের পাশাপাশি কাবো, সোনিয়া গাজম, স্নেহা ভট্টাচার্য, ঋক বসুর মতো বাংলার ছেলেমেয়েরা।