টলিপাড়ায় প্রেমের খবর কি ধামাচাপা দেওয়া যায়? যতই লুকোও তা বের হয়ে আসবেই। কিছুদিন আগে পর্যন্ত চর্চায় ছিল বছর ৫৩-র কাঞ্চনের সঙ্গে ২৭ বছরের শ্রীময়ীর প্রেম ও বিয়ে। তবে এদের খবর এখন পুরনো। এখন নতুন করে চর্চায় উঠে এসেছে অম্বরীশ ভট্টাচার্য ও আয়েশা ভট্টাচার্যের প্রেম। হাঁটুর বয়সী আয়েশার সঙ্গে প্রেম নিয়ে গুঞ্জন চলছেই।
কিন্তু নাহ, এপ্রেম কাঞ্চন-শ্রীময়ার প্রেমের মতো বাস্তব নয়। এপ্রেম শুধুই 'রিল'-এর সৌজন্যে। আর একথা খোলসা করেছেন আয়েশা নিজেই। হেসে ফেলে অভিনেত্রী বলেন, ‘প্রেম করছি না, অম্বরীশদার প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয় করছি, মাঝে মাঝে এমন খবর রটে’!’ আর এসবই ঘটছে জিতের প্রযোজনা সংস্থা 'ব্যুমেরাং'-এর দৌলতে।
আরও পড়ুন-সলমনকে অপমান! ক্ষমা চাইতেও নারাজ, কুণাল কামরার বিরুদ্ধে মামলা করছেন ভাইজান?
তবে এই ‘সুগার ড্যাডি’, ‘মিষ্টি বাপি’র প্রেম, মানে অসম বয়সের প্রেম নিয়ে কী অভিমত আয়েশা ভট্টাচার্যের?
এবিষয়ে টিভি9 বাংলাকে আয়োশা বলেন, ‘আমার কিন্তু ব্যাপারটা বেশ ভালোই লাগে। অম্বরীশদা আমার খুবই প্রিয় একজন কো-অ্যাক্টর।’ তবে বাস্তবেও যদি এমন ‘সুগার ড্যাডি’র প্রেম হয় তাহলে? এবিষয়ে বছর ২৫-এর আয়েশা বলেন, ‘হলে হবে, এতে আমার আপত্তি নেই। বরং ভালোই তো। আমার তো বড় বয়সের প্রেমিক বেশ ভালোই লাগে। সমবয়সী প্রেমে অনেক অসুবিধা। বয়সে বড় হলে স্নেহ বিষয়টা থাকে। একই বয়স হলে ঝগড়া-মারপিট চলতেই থাকে। তাই বুড়োর সঙ্গে প্রেম করতে আপত্তি নেই।’
কিন্তু পরিবার? তাঁরা কি এমন ‘সুগার ড্যাডি’ প্রেম মেনে নেবেন?
আয়েশার জানান, তাঁর বাবা-মা তাঁদের প্রেম নিয়ে আশাবাদী। তিনি বাবা-মায়ের আদরের মেয়ে। তবে আবার আয়েশার কথায়, ‘আমার বাবার মতো স্বামী চাই, তাই মিষ্টি বাপিতেও আপত্তি নেই। তবে আমার মায়ের আছে।’ আয়েশা জানান, ২৬-২৭ বছরের বড় প্রেমিক জুটলে বাবা-মা মানবেন না। তবে বছর ১০-এর পার্থক্য হলে সেটা তাঁর বাড়িতে গ্রহণযোগ্য হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগে পুণ্যিপুকুর’ ধারাবাহিকে অম্বরীশ ভট্টাচার্যের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন আয়েশা। আর এবারে এক্কেবারে মেয়ে থেকে প্রেমিকা। তবে জিতের যে 'বুমেরাং' ছবিতে এই প্রেমের গল্প দেখা যাবে তাতে মুখ্য চরিত্রে দেখা যাবে জিৎ আর রুক্মিণী মৈত্রকে। এছাড়াও এই সিনেমায় রয়েছেন দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায় এবং সৌরভ দাস।