বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > 'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত', দ্য কেরালা স্টোরি ব্যান প্রসঙ্গে কটাক্ষ অনীক দত্তের

'উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত', দ্য কেরালা স্টোরি ব্যান প্রসঙ্গে কটাক্ষ অনীক দত্তের

দ্য কেরালা স্টোরি ব্যান প্রসঙ্গে কটাক্ষ অনীক দত্তের

Anik Dutta on The Kerala Story: কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছে দ্য কেরালা স্টোরি। ইতিমধ্যেই অনেকেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। কটাক্ষ করেছেন খোদ সেন্সর বোর্ডের সদস্য। এবার বিরোধিতা করলেন পরিচালক অনীক দত্ত।

দ্য কেরালা স্টোরি নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। গত শুক্রবার, ৫ মে মুক্তি পেয়েছে সুদীপ্ত সেন পরিচালিত আদা শর্মা অভিনীত ছবি দ্য কেরালা স্টোরি। আর তারপর থেকেই শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। বিতর্কের নেপথ্যে এই ছবির গল্প। একাধিক রাজ্যে এই ছবিকে ব্যান করার করা কথা বলা হলেও, বা হল থেকে সিনেমা তুলে নিলেও পশ্চিমবঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করে ব্যান করা হয়েছে এই ছবি। আর সেটা যেন গোটা বিতর্ককে আরও অনেক বেশি উসকে দিয়েছে।

খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যে এই ছবির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। মুখ্য সচিবকে এই নিয়ে নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা এই ছবিটি উসকানিমূলক এবং এটা দেখলে দর্শকদের মধ্যে হিংসা, ঘৃণা ছড়াতে পারে। তাই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেই জানান।

ইতিমধ্যেই সেন্সর বোর্ডের সদস্য বীণা ত্রিপাঠী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন। তাঁর সিদ্ধান্তকে তিনি 'অগণতান্ত্রিক' বলেও দাবি করেন। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললেন ভূতের ভবিষ্যতের পরিচালক অনীক দত্ত।

এর আগে অনীক দত্তের অপরাজিত যখন গোটা রাজ্য জুড়ে সমাদৃত জলজ একাধিক হলে চলল, শো সংখ্যা বাড়ল তখন একমাত্র নন্দনে জায়গা পায়নি এই ছবি। তখনও গোটা বিষয় নিয়ে প্রচুর বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর দ্য কাশ্মীর ফাইলস মুক্তি পেয়েছিল যখন তখনও ঠিক একই ভাবে বিতর্ক উসকে গিয়েছিল। এবার তো সোজাসুজি ব্যান করা হল সুদীপ্ত সেনের এই ছবিকে।

এই সময়ের তরফে এই প্রসঙ্গে অনীক দত্তের সঙ্গে কথা বললে তিনি তাঁদের জানান, 'যা চাইলেন ওঁরা সেটাই হচ্ছে। ব্যান করার ফলে বেশি চর্চা হচ্ছে। সামনে উঠে আসছে বিষয়টা। এতে সংখ্যাগুরু, সংখ্যালঘু দুজনেরই সুবিধা হবে।'

পরিচালকের মতে যদি এই ছবি ব্যান না করা হতো তাহলে এটা প্রচারের আলোয় আসত না। তাঁর কথায়, 'সরকারের তো কোনও ছবি ব্যান করার অধিকার নেই। একমাত্র সেন্সর বোর্ডের সেই অধিকার আছে। আর আইনি কোনও সমস্যা থাকলে সেটার জন্য আদালত আছে। এভাবে কেউ একজন বলে দিল আর ছবি হল থেকে নামিয়ে নেওয়া হল, এটা হতে পারে না। এটা অত্যন্ত বোকা এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত। উনিও করছেন আমরাও তাতে পা দিচ্ছি।'

অনীকের আরও সংযোজন, 'আমার ছবির জন্য ২১ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছেন তাও শিক্ষা হয়নি। আর কী করা যাবে।'

তবে যতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ছবির বিরোধিতা করুন না কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিন্তু এই ছবির ভীষণ প্রশংসা করেছেন, বলেছেন সমাজের সত্য তুলে আনা হয়েছে এই ছবির মাধ্যমে।

বন্ধ করুন