Animal Success Party: বউ আলিয়ার কোমর ধরে অ্যানিম্যালের সাফল্য পার্টিতে এলেন রণবীর, তারপর এটা কী করলেন রশ্মিকার সঙ্গে

ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল রেড্ডি ভাঙ্গার এই অ্যাকশন ফিল্ম। ছবি বিশ্ববাজারে ৯০০ কোটিতে পা রাখতেই, বড় করে রাখা হয়েছিল সাফল্য পার্টি। দেখে নিন অন্দরের কিছু ছবি।

অ্যানিম্যালের পার্টিতে আলিয়া, রণবীর, রশ্মিকা। 

ভারতের বাজারে অনেকদিন আগেই টপকেছিল ৫০০ কোটির ঘর, এবার বিশ্বব্যপী ৯০০ কোটির উপর আয় হতেই অ্যানিম্যালের জন্য সাকসেস পার্টি রেখেছিলেন নির্মাতারা। শনিবার ৬ জানুয়ারি জুহুর একটি হোটেলে বসেছিল চাঁদের হাট। পার্টিতে সটান বউ আলিয়া ভাটকে নিয়ে হাজির রণবীর কাপুর। এছাড়াও ছিলেন আলিয়ার বাবা মহেশ ও রণবীরের মা নীতু কাপুর।

একদম প্রথম দিকেই পার্টিতে ঢুকলেন অনিল কাপুর। স্ত্রীকে নিয়ে এসেছিলেন কিংবদন্তি অভিনেতা প্রেম চোপড়া। এসেছিলেন ভূষণ কুমারও। সাদিদ খান, ফারহা খান, বিবেক ওবেরয়, জন আব্রাহাম, রীতেশ ও জেনেলিয়া দেশমুখ, রামগোপাল ভর্মা, তামান্না ভাটিয়া, রকুলপ্রীত সিং-রা আলো করলেন অনুষ্ঠান স্থল।

অ্যানিম্যালের দুই অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনা ও তৃপ্তি দিমরি একটু দেরিতে এলেও, ছবির গোটা টিমের সঙ্গে ধরা দিলেন মস্তি মুডে। দেখে নিন ছবি-

টিম অ্যানিম্যাল। 

পার্টিতে ‘অ্যানিম্যাল’ তারকারা। 

অ্যানিম্যালের সাফল্য পার্টিতে সামিল হলেন বলি তারকারাও। 

পরিবারের সঙ্গে রণবীর কাপুর।

এদিনের পার্টির মধ্যমণি হয়ে রইলেন রণবীর আর আলিয়াই। নীল গাউনে অপরূপা লাগছিল রাহা-র মাকে। রণবীরকে দেখা গেল অল ব্ল্যাক লুকে। বউয়ের কোমরে হাত দিয়ে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা দিলেন কর্তা-গিন্নি। ক্যামেরার সামনে একটু পিডিএ করতেও দেখা গেল তাঁদের। 

আলিয়ার বাবা পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাট পরে এসেছিলেন নীল জিন্স আর কালো টি-শার্ট। অন্য দিকে, রণবীরের মা নীতু কাপুর ডেনিম রম্পারের সঙ্গে পরেছিলেন সাদা রঙের জ্যাকেট। 

১ ডিসেম্বর মুক্তি পেয়েছিল রেড্ডি ভাঙ্গার এই অ্যাকশন ফিল্ম। আপাতত ভারতের বাজারে আয়ের ভিত্তিতে বলিউড ছবি হিসেবে দুই নম্বরে রয়েছে এটি। হারিয়ে দিয়েছে পাঠান, গদর ২-এর মতো সিনেমাগুলিকেও। রণবীরের কেরিয়ারেরও সবচেয়ে বড় সাফল্য হল অ্যানিম্যাল। অর্জুন রেড্ডি, কবীর সিং-এর পর আরও এক ব্লকবাস্টার উপহার দিয়েছেন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি। এমনকী, এই ছবির কাছে হার মেনেছে শাহরুখের ডাঙ্কি, প্রভাসের সালারও। 

বাবা-ছেলের সম্পর্কের রসায়ন নিয়েই এই সিনেমা। ছেলে ছোট থেকেই পায়নি বাবার ভালোবাসা। বাবার প্রতি টান পরিণত হয়েছে পাগলামিতে। বাবার উপর হামলা হলে, সে একের পর এক প্রাণ নিতেও দ্বিধা করে না। এমনকী, ঠকায় নিজের বউকেও। 

তবে গল্প শুনতে এরকম সহজ-সরল মনে হলেও স্ক্রিন প্রেজেন্স বড়ই জটিল। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার লম্বা এই সিনেমা জুড়ে মাত্রাতিরিক্ত হিংসে, রক্তারক্তি। একাধিক যৌন দৃশ্য। অনেকেই দাবি করেছেন ‘বিষাক্ত পৌরুষ’কে মহিমান্বিত করেছে রণবীরের সিনেমা। যদিও এই অভিযোগ আগেও লেগেছিল পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার উপর কবীর সিং ও অর্জুন রেড্ডির সময়।