কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে অনুষ্ঠিত হচ্ছে টাটা স্টিল কলকাতা লিটারারি মিট ২০২৩। এই সাহিত্য কেন্দ্রিক আলোচনার অনুষ্ঠানটি গতি ২১ জানুয়ারি শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর এই অনুষ্ঠানের প্রথমদিন শেষ পর্বে সকলের মন জয় করে নিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য।
এদিন অনির্বাণ ভট্টাচার্যকে একদম অচেনা রূপে দেখা গেল। না, তিনি এদিন কোনও নাটক মঞ্চস্থ করেননি, অভিনয় করেননি। তবে কী করেছেন? এদিন তিনি শ্রুতি নাটক পাঠ করেছেন। নিজেই গেয়েছেন, পাঠ করেছেন এবং একই সঙ্গে আবহ সঙ্গীত ম্যানেজ করেছেন। ফলে তিনজনের কাজ মঞ্চে তিনি সমান দক্ষতার সঙ্গে একাই সামলেছেন।
এই সাহিত্য বিষয়ক অনুষ্ঠানে নিশ্চয় ভাবছেন তিনি কী শ্রুতিনাটক হিসেবে পাঠ করলেন? এদিন তিনি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের মশা গল্পটিকে পাঠ করেন।
অভিনেতা মঞ্চ থেকে শুরুতেই জানান, 'সকলকে নমস্কার। খুবই ভালো লাগছে এই মঞ্চে বসে গল্প পাঠ করার সুযোগ পেয়ে। এটি শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখা একটি ছোট গল্প, মশা। ২০১৫ সালে আমরা আমাদের নাট্য সংগঠন থেকে একটি নাটক মঞ্চস্থ করেছিলাম। চারটি গল্প নিয়ে হয়েছিল সেই প্রযোজনা, তার একটি ছিল মশা। এখন যেটা পাঠ করব সেটা সেই গল্পের নাট্যরূপ। নাটকের প্রয়োজনের কিছু জায়গা আমরা সম্পাদনা এবং সংযোজন করেছিলাম।'
এরপর তিনি শুরু করেন তাঁর শ্রুতিনাটক। শুরুতেই চমক! মশার শব্দ করে শোনালেন অভিনেতা। সঙ্গে গেয়েও ফেললেন মশাদের গান! এদিন উপস্থিত সকল দর্শকরা তাঁর লাইভ গানের সাক্ষী থাকলেন। তারপর তিনি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে পাঠ করতে থাকেন শ্রুতিনাটকটি। কখনও থুত্থুরে বুড়ো দাদুর গলায় কখনও যুবকের গলা করে পাঠ করলেন গোটা নাটকটি। স্ক্রিপ্টের মাঝে মাঝে ছিল গানের উপস্থিতিও। ফলে এই টানা ২৫ মিনিটের নাটকটি মুগ্ধ করে দর্শকদের। অভিনেতার এই সোলো পারফরমেন্স সকলের মন জয় করে নেয়!
আদতে বলে না শেষ ভালো যার সব ভালো তার! এ যেন ঠিক তাই। অভিনেতার বহু ভক্তরা এখানে মন্তব্য করেছেন। এক ব্যক্তি লেখেন, 'মুগ্ধ এই দারুণ শিল্পের সাক্ষী থেকে।' আরেক ফেসবুকবাসী লেখেন, 'অসাধারণ।' আরেক ব্যক্তি লেখেন, 'বাকরুদ্ধ, দারুণ দারুণ। যে কোনও ভাষা কম পড়ে যাচ্ছে।'
আগামী মাসের ১০ তারিখ মুক্তি পেতে চলেছে অনির্বাণ ভট্টাচার্য অভিনীত ছবি মিথ্যে প্রেমের গান। তাঁর সঙ্গে এই ছবিতে ইশা সাহা এবং গৌরব চক্রবর্তীকেও দেখা যাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায়।