নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মুম্বইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্ট। গোটা দেশের নজরে এখন বান্দ্রার এই বহুতল। বাবা-মা'কে নিয়ে এখানেই থাকেন বলিউড সুপারস্টার সলমন খান। রবিবার কাকভোরে সলমনের বাড়ি লক্ষ্য করে চার রাউন্ড গুলি চালায় দুইজন দুষ্কৃতি। একটি গুলি লাগে সলমনের বাড়ির জানালার পাশের দেওয়ালে। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাং। আরও পড়ুন-আমেরিকায় তৈরি হয় সলমনের বাড়িতে গুলি চালানোর ছক, হামলাকে পাত্তা দিতে না-রাজ ভাইজান
এক বছর আগেই সলমনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন জেলেবন্দি গ্যাংস্টার। হুমকি ই-মেলের ঘটনার পরই সলমনকে ওয়াই প্লাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দেয় মহারাষ্ট্র সরকার, তারপরেও নায়কের বাড়ির সামনে চলল গুলি। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন ভাইজান ভক্তরা। আতঙ্কিত খান পরিবার-প্রিয়জনরা। তবে এই ঘটনার পরেও খানিক নির্বিকার সলমন। শেডিউল মেনেই কাজ করবেন তিনি, জানিয়ে দিয়েছেন টিমকে।
এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাকেও ভাইজান সমালোচকরা ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’ বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। এবার সেই নিয়েই ফুঁসে উঠলেন আরবাজ খান। ঘটনার পর খান পরিবারের তরফে প্রথমবার কেউ মুখ খুললেন। দু-দিন আগেই ছেলের পডকাস্টে আরবাজ বলেছিলেন, রোজ দেখা বা কথা না হলেও দুঃসময়ে সবসময় একে অপরের পাশে আছে খান ভাইয়েরা। সেই মতোই এদিন দাদার উপর এমন অতর্কিত হামলা নিয়ে ক্ষোভ চেপে রাখলেন না আরবাজ।
আরবাজ লেখেন, ‘দুই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি মোটরবাইকে চড়ে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালিয়েছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক এবং বিরক্তিকর ঘটনা। আমাদের পরিবার এই ভয়ঙ্কর ঘটনায় অত্যন্ত ভেঙে পড়েছে। দুর্ভাগ্যবশত কিছু মানুষ আমাদের ঘনিষ্ঠ বলে নিজেদেরকে দাবি করে আমাদের পরিবারের মুখপাত্র হওয়ার চেষ্টা করছে। মিডিয়ায় ভুলভাল বিবৃতি দিয়ে বলছে এটা নাকি পাবলিসিটি স্টান্ট, এবং পরিবারে এর প্রভাব পড়েনি। সেটা সর্বৈবভাবে মিথ্যা।’
অভিনেতা-প্রযোজক আরও বলেন, ‘সেলিম খানরে পরিবারের কোনও সদস্য এই নিয়ে মিডিয়ায় কোনও বয়ান দেয়নি। আপাতত এই অনঅভিপ্রেত ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও তদন্তকারীদের সবরকম সহায়তা করছে পরিবার।’ গুলি চলার ঘটনার পরেও মুম্বই পুলিশের নিরাপত্তায় আস্থা রেখে আরবাজ বলেন, ‘মুম্বই পুলিশের উপর আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তাঁরা আমাদের পরিবারের সকল সদস্যের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দিয়েছেন। সকলকে ধন্যবাদ প্রার্থনা ও ভালোবাসার জন্য’।
সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে এসেছে অভিযুক্তের পরিচয়। পরনে কালো জ্যাকেট, মাথায় টুপি, চাপদাড়ি। নাম বিশাল ওরফে কালু। বাইকে চেপে গুলি চালিয়ে পালান কালু। বিষ্ণোই গ্যাং-এর পুরোনো সদস্য সে। কাজ করে রোহিত গোধরা গ্যাংয়ের সঙ্গেও।
গুলি চালানোর ঘটনার দায় স্বীকার করে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল খোলা হুমকি দেন সলমনকে। বলেন, আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সলমন খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কত দূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এর পর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না…'।