তোমাদের রাণী ধারাবাহিকের সেটে এখন চরম ব্যস্ততা। কারণ? কারণ আর কিছুই নয়, ধারাবাহিকের একদম শুরুতে যে প্রোমো দেখানো হয়েছিল যে রাণী সংসার, বাচ্চা আর পড়াশোনা থুড়ি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন কোনও কিছুর সঙ্গেই আপোস না করে কীভাবে সবটা একা হাতে সামলায় সেটাই এবার ধারাবাহিকে দেখানো হবে। অর্থাৎ ধারাবাহিকের মাহেন্দ্রক্ষণ হাজির! আগামী শুক্রবার, অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বরের মহাপর্বে দেখানো হবে রাণীর লড়াইয়ের শুরুর অধ্যায়। তার আগেই শুটিংয়ের ফাঁকে হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার মুখোমুখি হয়েছিল রাণী এবং দুর্জয় ওরফে অভিকা এবং অর্কপ্রভ।
প্রথম ধারাবাহিকেই তবে বাজিমাত! তার সঙ্গে আবার দুর্জানি নামও পাওয়া হয়ে গিয়েছে। কেমন লাগছে?
অভিকা: ভীষণ ভালো লাগছে। দুর্জানি শব্দটা এখন ট্রেন্ডিং দেখে ভীষণ ভালো লাগছে। আমরা খুবই খুশি যে আমার কাজ মানুষের পছন্দ হয়েছে।
অভিকাও কি রাণীর মতোই এমন ডাকাবুকো। নিজের অধিকারের হয়ে লড়তে জানে?
অভিকা: একেবারেই রানীর মতো নয়। কিন্তু হ্যাঁ কিছু মিল আছেই। নিজের যেটা অধিকার সেটা লড়ে বুঝে নিতে জানে। কিছু যদি মনে করে যে করবে সেটা করেই ছাড়ে, হয়তো তখনই তখনই করতে পারে না। কিন্তু জেদটাও ছাড়ে না।
আরও পড়ুন: 'চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে', কিফের অনুষ্ঠানের মাঝেই আবেগঘন হলেন ইমন, কেন ধন্যবাদ জানালেন মুখ্যমন্ত্রীকে?
আরও পড়ুন: সাহেব শেফ, বিপরীতে থাকা সুস্মিতা রিয়েল লাইফে রান্নায় অপটু, জানুন অন্দরমহলের 'কথা'
আর অর্কপ্রভ? কতটা মিল দুর্জয়ের সঙ্গে?
অর্কপ্রভ: একেবারেই মিল নেই। একেবারেই নয়। আমরা এত রাগী নই। কেয়ারিং, কিন্তু দুর্জয়ের মতো নই।
অভিকা: ও বরং সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকে। সবাইকে মাতিয়ে রাখে।
বাব্বা! তার মানে অনস্ক্রিন যতই মান অভিমান চলুক, আসলে বন্ডিং জমে ক্ষীর!
অভিকা: একেবারেই। সেটে ঢুকলেই দুজনে গম্ভীর। চরিত্রে ঢুকে যাই তারপর কাট হলে আবার অভিকা আর অর্কপ্রভ। আমরা তো রীতিমত এখানে দৌড়ে বেড়াই। একেবারে টম অ্যান্ড জেরি।
অর্কপ্রভ: হ্যাঁ, আমরা অফস্ক্রিন বন্ধুত্ব দারুণ জমে গিয়েছে তোমাদের, আপনাদের রাণীর পাশাপাশি ও আমার রাণী হয়ে উঠেছে। আমাদের মধ্যে কোনও সিক্রেট নেই। সবটা একে অন্যের সঙ্গে ভাগ করি। (জড়িয়ে ধরেন অভিকাকে)
সবই তো বুঝলাম, রাণী যেমন অভিনয়ের পাশাপাশি আঁকা, নাচ চালিয়ে যাচ্ছে, আপনার গানের কী খবর?
অর্কপ্রভ: আসলে সময় পাই না। পেলে করি। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করি।
অভিকা: হ্যাঁ, ওটাই সময় পাই না। পেলে যা যা পছন্দের সবই করা হয়।
আরও পড়ুন: সলমন-জিতের সঙ্গে টক্কর দিতে ইদে মির্জা আনছেন অঙ্কুশ, ফ্লপ না হয়ে যায়, চিন্তায় নেটপাড়া
তবে শেষ একটাই প্রশ্ন, গোটা ধারাবাহিক যেখানে এত প্রগ্রেসিভ সেখানে দুর্জয় নিজে ডাক্তার হয়েও কেন রাণীর পড়ায় বাঁধা দিচ্ছে?
অর্কপ্রভ: না না, ওর পড়াশোনার বিরোধী আমি নই। কিন্তু ওর মধ্যে যখন একটা প্রাণ বড় হচ্ছে যেটা আমারই অংশ আমি তখন সেখানে কোনও রিস্ক নিতে চাই না। আমার একটাই বক্তব্য যে কিছুদিন যাক বাচ্চাটা হোক, তারপর। আসলে ওর নিজের পরিচিতি তৈরি করার জিনিসটাই আমার ভালো লেগেছে, তাই তো দুর্জয় রাণীর প্রেমে পড়েছে।