স্টার জলসার অন্যতম চর্চিত ধারাবাহিক নিসন্দেহে ‘খড়কুটো’। আর সেখানে সবথেকে বেশি চর্চা হয় তৃণা সাহা অভিনীত চরিত্র ‘গুনগুন’কে নিয়ে। কখনও গুনগুনের প্রেমে পড়া যান তাঁরা, আবার কখনও এই গুনগুন-র ওপর চটে যায় সকলে! এখনও ঠিক তেমনটাই হচ্ছে। আর অবস্থা এমন হয়েছে যে পড়ে যাচ্ছে ধারাবাহিকের TRP রেটিংও।
সম্প্রতিতম এপিসোডে দেখা গিয়েছে, ‘খড়কুটো’য় পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতিতে ভাশুরের স্ত্রী মিষ্টির সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে সাহায্য করেছিল সে। আর তাই একটা অধিকারবোধ জন্মেছে তাঁর মধ্যে। জন্মের পর থেকেই একরত্তি মেয়েকে কাছ-ছাড়া করতে চাইছে না গুনগুন। যা মানতে পারছে না নতুন মা মিষ্টি। বাড়ির সব লোক এমনকী, সৌজন্যর বোঝানোতেও কোনও কাজ হচ্ছে না। দুই জায়ের মন কষাকষির আঁচ টেলিভিশন পর্দা ভেদ করে চলে এসেছে নেটমাধ্যমেও। সকলেই কড়া সমালোচনা করছে গুনগুনের ব্যবহারের।
‘মেয়েটার সবেতে বাড়াবাড়ি আর মেনে নেওয়া যায় না’, বলেই মত তাঁদের। আবার কেউ মনে করছেন, মা হারা গুনগুন ছোট্ট প্রাণ পেয়ে মায়ের অভাব পূরণ করতে চাইছে। তৃণা-র অনুরাগীরাও নেটপাড়ায় গুনগুনের হয়েই কথা বলছেন। কিন্তু এই বিতর্কে তৃণা-র কী মত? এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণা জানান, আমি বিতর্ক নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমাকে পরিচালক যেমন অভিনয় করতে বলেন তেমনটাই করি।
সঙ্গে দর্শকদের কাছে প্রশ্ন রাখেন, তাঁরা যদি পয়সা দিয়ে টিকিট কেটে ‘কৃশ’, ‘সুপারম্যান’ দেখতে পারেন, তাহলে কারও দুটো বিয়ে দেখতে সমস্যা কোথায়। সদাহাস্য গুনগুনের তো কিছু সমস্যা থাকতে পারে! কিন্তু সেটাই মানতে রাজি নন তাঁরা। তবে তৃণা এটাও মনে করেন আজ যেটা দর্শকের ভালো লাগছে, কাল সেটা না লাগতেই পারে। তাই সে নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। ‘খড়কুটো’র আগে ২০১৬ সালে ‘খোকাবাবু’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় শুরু করেন তৃণা সাহা। এরপর তাঁকে দেখা যায় ‘কলের বউ’তে।