৪ ফেব্রুয়ারি। আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবস। ক্যানসার হল অনিয়ন্ত্রিত কোষের বৃদ্ধি এবং এই অনিয়ন্ত্রিত ক্ষতিকারক কোষ শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার একটি প্রবণতা। যদি সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করা হয় তবে ক্যানসার মারাত্মক হতে পারে। এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য, প্রতি বছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী বিশ্ব ক্যানসার দিবস পালন করা হয়।
এক সময় ক্যনসারের মতো কঠিন রোগের সঙ্গে লড়াই করেছেন বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানার স্ত্রী তাহিরা কাশ্যপ। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন আগেই। শুরু থেকেই আয়ুষ্মান জানিয়েছিলেন যে, তাহিরার সঙ্গে এই লড়াইয়ে পাশে থেকেছেন তিনি। তাঁর স্টেজ জিরো স্তন ক্যানসার হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন তাহিরা। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এই রোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন। আরও পড়ুন: ‘মিথ্যা হোক, তবুও সাহসী’! যাঁকে নিয়ে এত ঝামেলা, সেই বরই নাকি এখন পুনমের পাশে
শুরুর দিন থেকে এই লড়াইয়ে তাহিরার পাশে ছিলেন আয়ুষ্মান। আজ বিশ্ব ক্যানসার দিবসে স্ত্রীকে নিয়ে বিশেষ পোস্ট করলেন অভিনেতা। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইয়ের সময়কের তাহিরার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন আয়ুষ্মান। তাহিরার টপলেস ছবিতে অস্ত্রোপচারের পিঠের দাগ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। ছবি শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন, ‘পঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ নম্বর হাটে চা আর সিঙারা খাওয়ার জন্য যে মেয়েটিকে আমি টেনে নিয়ে গিয়েছিলাম। আজকের @spokenfest-এ তোমার আত্মপ্রকাশের জন্য শুভেচ্ছা। তোমার প্রতি আমার আন্তরিক ভালোবাসা। @tahirakashyap #WorldCancerDay’।
২০১৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তাঁর লড়াই চলেছে স্তনের ক্যানসারের বিরুদ্ধে। অস্ত্রোপচার হয়েছিল সেই সময়ে। এখন সুস্থ তাহিরা কাশ্যপ। ক্যামেরার দিক থেকে পিছন ফিরে বসে রয়েছেন। বুকের দিক থেকে পিঠের খানিক অংশে অস্ত্রোপচারের কাটা দাগ। বউয়ের এই ছবি শেয়ার করেছেন আয়ুষ্মান। ক্যানসারের চিকিৎসার দরুণ মাথার চুল পড়ে গিয়েছিল তাহিরার। র্যাপুনজেলের মতো চুল ছিল যে মেয়েটির স্বপ্ন, তাঁকে একসময় ন্যাড়া পর্যন্ত হতে হয়েছিল। এখন ছোট-ছোট করে চুল ছাঁটা তাঁর। তাহিরার জীবনের এই কঠিন পর্যায় তুলে ধরেছেন ছবির মাধ্যমে অভিনেতা।
'বিশ্ব ক্যানসার দিবস'
বিশ্ব ক্যানসার দিবসের প্রস্তাবটি ৪ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯ সালে প্যারিসে নেওয়া হয়। পরের বছর, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০০০-এ ক্যানসারের বিরুদ্ধে বিশ্ব শীর্ষ সম্মেলনে ফলো-আপ চলাকালীন প্যারিস অ্যাগেনস্ট ক্যানসারের সনদ স্বাক্ষরিত হয়। প্যারিসে নিউ সহস্রাব্দের জন্য, আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ব ক্যানসার দিবসের প্রথম উদযাপন করা হয়। সনদের লক্ষ্য ছিল ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া এবং ক্যানসারের যত্ন ও গবেষণা সম্পর্কিত সমস্যাগুলি সমাধান করা।