নাহ। পরীমনির এই বিয়েটাও টিকল না। শরিফুল রাজের সঙ্গে বাংলাদেশের 'পরী'র পঞ্চম বিয়েটাও ভাঙতে চলেছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো সূত্রে খবর, শরিফুল রাজকে বিবাহ-বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠিয়েছেন পরীমনি। জানা যাচ্ছে, ১৮ সেপ্টেম্বর রাজের কাছে এই ডিভোর্সের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বহুদিন ধরেই রাজ-পরীমনির বৈবাহিক জীবনে ঝামেলা, অশান্তির খবর আসছিল। মাঝে অবশ্য দুজনের মধ্যে মিটমাট হওয়ার খবরও মিলেছিল। এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে রাজের জন্মদিনে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল পরীমনিকে। এমনকি রাজও সব মিটে যাওয়ার কথা-ই বলছিলেন। কিন্তু নাহ, এখন বোঝা যাচ্ছে কিছুই মেটেনি। এবার এই বিয়ে নিয়ে আইনি পদক্ষেপ করলেন পরীমনি।
আরও পড়ুন-বাবা হলেন রাহুল বৈদ্য, মা হলেন দিশা, ছেলে হল না মেয়ে?
আরও পড়ুন-‘টাবুতে মুগ্ধ, প্রেমে পড়ে গিয়েছি’, অকপট বাঁধন, হয়েছে উপহার দেওয়া-নেওয়া
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১০ জানুয়ারি প্রকাশ্যে আসে পরীমনি ও শরিফুল রাজের সম্পর্কের খবর। তার কয়েকদিন পর ওই বছরেরই ২২ জানুয়ারি ঘরোয়াভাবে বিয়ে করেন রাজ-পরীমনি। বিয়ের পরপরই পরীমনির অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর মেলে। ১০ মাসের মাথাতেই পরীমনির কোলজুড়ে আসে তাঁদের সন্তান। স্বামী শরিফুল রাজের সঙ্গে নাম মিলিয়ে পরীমনি তাঁর ছেলের নাম রাখেন শহীম মহম্মদ রাজ্য। তবে নাহ। পরীমনির মাতৃত্বের কিছুদিন পর থেকেই তাঁদের দাম্পত্য কলহের খবর সামনে আসতে থাকেন। মাঝে অবশ্য সব মিটিয়ে তাঁরা একসঙ্গে সংসারও করছিলেন। তবে শরিফুল রাজের ফেসবুক থেকে বাংলাদেশের একাধিক অভিনেত্রীর গোপন ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ার পরই তাঁদের সম্পর্কে তিক্ততা তৈরি হয়। পরীমনির থেকে আলাদা থাকতে শুরু করেন রাজ।
এরপর শরিফুল রাজের সঙ্গে তিক্ততা নিয়ে প্রকাশ্যেই মুখ খোলেন পরীমনি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোকে পরীমনি জানিয়েছিলেন, সমস্যা সত্ত্বেও তিনি পরীমনির সঙ্গে সবকিছু মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু নাহ। পরীমনির সংসার আর জোড়া লাগল না।
পরীমনি সাফ জানিয়েছেন, ‘সংসার জীবনের এই অশান্তি, ব্লেম গেম থেকে পরিত্রাণ চাই। আমি আর রাজের বউ নই। এই সম্পর্কটা আর টেনে নিয়ে যেতে চাই না। বেশকিছুদিন ধরেই সমস্যা চলছিল। শুধু সন্তানের মুখ চেয়ে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি, তবে পারলাম না। ওঁর আচার-আচরণ একসঙ্গে থাকার মতো নয়। বাধ্য হয়েই আলাদা থাকছি। আমার মন ভালো নেই, এর বেশি কিছু বলতে পারব না।’