Birsa-Bidipta: মায়ের বান্ধবীকে বিয়ে বিরসার! পুলে খালি গায়ে বউকে জড়িয়ে লিখলেন, ‘বুকে বিদিপ্তা’

পুলের জলে গা ভিজিয়েছেন বিরসা দাশগুপ্ত আর বিদিপ্তা চক্রবর্তী। ভালোবেসে জড়িয়ে রয়েছেন একে-অপরকে। ছবির ক্যাপশন নিয়ে শুনতে হল কটাক্ষ।

২০১০ সালের জানুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন বিরসা দাশগুপ্ত ও বিদিপ্তা চক্রবর্তী। পরিচালক-অভিনেত্রীর প্রেম ও বিয়ে নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা। বান্ধবী-র ছেলেকে বিয়ে করার কথা কয়েকদিন আগেই নিজের মুখে জানিয়েছিলেন বিদিপ্তা। এবার বেশ মাখোমাখো রোম্যান্সের ছবি দিলেন সামাজিক মাধ্যমে।

ফ্যামিলি ভ্যাকেশন থেকে ছবিটি শেয়ার করেছেন বিরসা। পুলের মাঝে তোলা হয়েছে ছবিখানা। বরের বুকে মাথা রেখেছেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লেখেন, ‘আজ ওয়ার্ল্ড বুক ডে, সবাই বুক হাতে ছবি দিচ্ছে! আমিও দিলাম বুকে বিদিপ্তা’। পিছনে দেখা গেল বিরশা-বিদিপ্তার কন্যা ইদাকেও।

তবে নেটপাড়ার ট্রোলের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিরসার দেওয়া এই ক্যাপশন। একজন লেখেন, ‘আপনি হয়তো মজা করেই এই ক্যাপশন দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ার্ল্ড বুক ডে-র সঙ্গে এটাকে গুলিয়ে ফেলবেন না প্লিজ। শিক্ষার জায়গা আর ভালোবাসার জায়গা আলাদা।’ দ্বিতীয়জন লিখলেন, ‘কী বাজে মস্করা’। পরে অবশ্য বদলে দেওয়া হয় ছবির ক্যাপশন। লেখা হল, ‘হৃদয় আমার, ওই বুঝি তোর বৈশাখী ঝড় আসে।’

দূরদর্শনের সূত্রে বিরসার মা চৈতালির সঙ্গে আলাপ বিদিশার। আলাপ ছিল বিরসার বাবা রাজা-র সঙ্গেও। কদিন আগে নিবেদিতা অনলাইনকে ৬ বছরের ছোট বিরসার সঙ্গে সম্পর্ক হওয়া নিয়ে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘বিরসা-রিভুকে ছোট বয়সে দেখেছি। হয়ত কখনও গালও টিপে দিয়েছি আদর করে দিয়েছি। ’

শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলার মাঠেই নাকি শুরুটা হয়েছিল। অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, ‘সেই সময় বিরসারও সবে সবে একটা প্রেম ভেঙেছে। আমারই এক বান্ধবীর সঙ্গে ওর প্রেম ছিল। ওরও মন খারাপ, আমিও বিবাহিত জীবন নিয়ে সমস্যা। কেয়া পিসি (চৈতালি, বিদিপ্তার শাশুড়ি) তো বলে সেই যে তোরা হাত ধরে গল্প করতে করতে কোথায় পৌষমেলার মাঠে হারিয়ে গেলি….।’

ক্যাপশন নিয়ে যতই ট্রোল হোক না কেন, যেভাবে আদরে জড়িয়ে রয়েছেন তাঁরা একে-অপরকে, তা বুঝিয়ে দিল বিয়ের এত বছর পরেও বিরসা-বিদিপ্তার সংসারে একফোঁটা কমেনি রোম্যান্স। ছয় বছরের বয়সের ফারাক, কোনও প্রভাব ফেলেনি সম্পর্কে।