ধারাবাহিকের সেটে আচমকাই হুড়মুড় করে ঢুকে পড়লেন একদল ব্যক্তি। তাঁদের হুজ্জুতিতেই থমকে গেল একাধিক ধারাবাহিকের শুটিং। কিন্তু ব্যাপারটা কী হয়েছে?
তোসে ন্যায়না মিলাইকে, গওনা এক প্রথা, শ্রাবণী, ইত্যাদি ধারাবাহিকের শুটিং এদিন মাঝ পথে থমকে গেল কিছুক্ষনের জন্য। এই ধারাবাহিকগুলো যে স্টুডিয়োতে শুট করা হয় সেখানেই আচমকা একদল মানুষ হুড়মুড় করে ঢুকে পড়েন এদিন। তাঁদের জন্যই শুটিংয়ে ব্যাঘাত ঘটে।
ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এম্প্লইজদের তরফে তাঁদের প্রেসিডেন্ট বিএন তিওয়ারি জানিয়েছেন যে এদিন এই স্থানীয় ব্যক্তিরা এসে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন। তাঁদের দাবি এই ধারাবাহিকের সেটগুলিতে স্থানীয়দের কাজ দিতে হবে। যদি প্রযোজনা সংস্থাগুলো সেটা না করতে পারে তাহলে নয়গাঁওর এই সেট তাঁরা নষ্ট করে দেবেন।
আপাতত ফেডারেশন অব ওয়েস্টার্ন ইন্ডিয়া সিনে এম্প্লইজদের তরফে নয়গাঁও থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে।
এই সংস্থার প্রেসিডেন্ট বিএন তিওয়ারি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, '১৫ অক্টোবর কিছু মানুষ নিজেদের অগ্রি সেনার সদস্য বলে এসে পরিচয় দেন। এরপর নয়গাঁওর ভজনলাল স্টুডিয়োতে জোর করে ঢুকে পড়েন। তারপর একপ্রকার জোর করেই আটকে দেন শুটিংও।' তিনি এদিন আরও দাবি করেন যে, 'ওঁরা আমাদের হুমকি দিয়েছে। কর্মী, শিল্পী এবং টেকনিশিয়ানদের হুমকি দিয়ে বলেছেন যে তাঁরা গোটা সেট, জিনিস, মেশিন সব ধ্বংস করে দেবেন।'
আরও পড়ুন: ফের মিস্টার ইন্ডিয়ার রূপ ধারণ করলেন অনিল, বিজ্ঞাপনের পর কি সিক্যুয়েল আসছে?
আরও পড়ুন: হাতে ত্রিশূল, কপালে ত্রিনয়ন, দুর্গার সাজে রাজপথে কী করছেন সৌমিতৃষা?
তাঁর মতো একই কথা বলেন সেখানে উপস্থিত থাকা এক অভিনেতাও। তাঁর কথা অনুযায়ী, 'আমার সিন চলছে তখন। আচমকাই ৩-৪ জন ঢুকে পড়েন সেটে এবং থামিয়ে দেন শুটিং। তারপর দেখি বাইরে ১৫০ জন মতো মানুষ দাঁড়িয়ে, হুমকি দিচ্ছে সব শেষ করে দেওয়ার। আমরা সবাই ভীষণ ভয় পেয়ে গেছিলাম।'
সেদিন যতক্ষণ না পুলিশ আসে ততক্ষণ সেই স্টুডিয়োতে সবাইকে আটকে রাখা হয়। তবে এটা নাকি প্রথমবার নয়। আগেও নাকি একাধিকবার এই জিনিস ঘটেছিল।