ফিরে এলেন মিস্টার ইন্ডিয়া। মিস্টার ইন্ডিয়া ২ আসছে নাকি? ব্যাপারটা কি? অনিল কাপুরকে সেই চেনা লুকে দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ আবার ভাবছেন আজকালকার ট্রেন্ড ফলো করে হয়তো তিনিও সিক্যুয়েল নিয়ে আসছেন তাঁর ছবির। কিন্তু ব্যাপারটা কি?
১৯৮৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল মিস্টার ইন্ডিয়া। আর তারপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায় এই ছবি। শেখর কাপুর পরিচালিত এই ছবির সিক্যুয়েল আসবে কিনা সেটা সম্প্রতি উসকে দিয়েছিলেন অনিল কাপুর নিজেই। তবে সেটা নিছকই মজা ছিল। কিছুদিন আগে তাঁর ইনস্টাগ্রামের সব পোস্ট উড়ে গিয়েছিল। তাই তিনি মজা করে মিস্টার ইন্ডিয়ার প্রসঙ্গে টেনে আনেন তখন। এবার তিনি সত্যি সত্যিই সেই অতীতের চেনা অবতারে ফিরলেন।
ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি অনিল কাপুর একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানেই তাঁকে মিস্টার ইন্ডিয়ার বেশে ধরা দিয়েছেন। এটা আদতে তাঁর পুরনো ছবি বা সেটার সিক্যুয়েলের দৃশ্য নয়, এটা আদতে গুগল পিক্সেলের বিজ্ঞাপন, সেটার জন্যই তিনি আবারও মিস্টার ইন্ডিয়া ওরফে অরুণ ভার্মা হলেন।
ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে মিস্টার ইন্ডিয়া আর তাঁর সহচর যুগল একটি ভুতুড়ে বাড়িতে হাঁটছেন। আর তখন একটি ফুলদানিতে হোঁচট খায় যুগল তারপর সেটাকে ভাসতে দেখা যায়। আর তারপরই বাতাসের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসে মিস্টার ইন্ডিয়ারূপী অনিল কাপুর। তাঁর হাতে সেই আইকনিক ব্রেসলেট। নেপথ্যে বাজছে মিস্টার ইন্ডিয়ার থিম।
এরপরই সেখানে তাঁরা স্মার্টফোন খুঁজে পান। এবং অনিল কাপুর সেটার ফিচার বলতে শুরু করেন। আপাতত এতটুকু দেওয়া গেলেও এই বিজ্ঞাপন যে বড় আকারে আসবে সেটা এই পোস্টে আভাস দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিদেশের রাজপথে দাঁড়িয়ে চুলোচুলি করছেন অভিষেক-করিনা! ব্যাপারটা কী?
এই ক্লিপ পোস্ট করে অনিল কাপুর লেখেন, 'সময়ের মাধুর্যই বোধহয় এটা। জিনিসকে আরও কত দামী করে তোলে সময়। মিস্টার ইন্ডিয়া এমন একটা জিনিস যা সময় কখনই মুছে ফেলতে পারবে না। আমি এখানে প্রায় একসঙ্গেই ভূত আর মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আজ ৩৮ বছর পর আমি আবার মিস্টার ইন্ডিয়া হয়ে ফিরে এলাম পিক্সেল ৮ সঙ্গে নিয়ে।'
আর এই পোস্টের পরই অনিল কাপুরের দাদা বনি কাপুর একটি বড় চমক দেন। তিনি রীতিমত আভাস দিয়ে লেখেন, 'কাজ চলছে বড় পর্দার জন্য।' মিস্টার ইন্ডিয়া এবং মিস্টার ইন্ডিয়া ২ লিখতে দেখা যায় তাঁকে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন ।
মিস্টার ইন্ডিয়ার হাত ধরে যে অনিল কাপুরের এই চরিত্র জনপ্রিয় হয়েছিল সেটাই নয়, একই সঙ্গে এই ছবির খলনায়ক দারুণ সাড়া পেয়েছিল। মোগাম্বো ওরফে ওমরিশ পুরি বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় খলনায়ক হিসেবে উঠে আসেন। তাঁর বলা মোগাম্বো খুশ হওয়া সংলাপটিও জনপ্রিয় হয়।
এখানে অনিল কাপুরের বিপরীতে দেখা গিয়েছিল শ্রীদেবীকে। তিনি সাংবাদিকদের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আর অনিল কাপুর ছিলেন পেশায় গায়ক। তাঁর হাতে উধাও হওয়ার একটা ব্রেসলেট আসে, তারপর কী করে তাঁরা দুর্নীতি, ইত্যাদির পর্দা ফাঁস করে দেন সমাজবিরোধীদের সেটা নিয়েই এই ছবি।