সুদীপ্তার রাজকীয় রিসেপশন
ঠিক যেন রূপকথা! ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজছে ‘টোয়ালাইট’ ছবির গান ‘থাউসান্ড ইয়ারস’। আলোর রোশনাই আর ফুলের চাদরে মোড়া নিকো পার্কের ইস্টসাইড প্যাভেলিয়ানের মধ্যে দিয়ে ‘বেটারহাফ’ সৌম্যর হাত ধরে হাঁটছেন সুদীপ্তা। এমনই রাজকীয় এন্ট্রি চোখে পড়ল নবদম্পতির। দুজনের রসায়ন ঠিকরে বেরোচ্ছে। মঞ্চের উপর নবদম্পতিকে ঘিরে শুরু নাচ। হালকা গোলাপি লেহেঙ্গায় ঝলমল করছেন সুদীপ্তা। অন্যদিকে একই রঙা আনারকলি-শেরওয়ানিতে দেখা মিলল স্মিতা বক্সী পুত্রের।
জুটিকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। বিয়েতে ছিল ভরপুর বাঙালিয়ানা, রিসেপশনে থাকল একটু অন্যরকম চমক। এদিন স্টেজে কেক কাটলেন নবদম্পতি। পরস্পরকে করালেন মিষ্টিমুখ। বিয়ের জাঁকজমককে ছাপিয়ে গেল রিসেপশনের আয়োজন। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক স্মিতা বক্সীর একমাত্র ছেলের বৌ-ভাতের আয়োজন, সেটা যে খাস হবে তা বলাই বাহুল্য।
রিসেপশনে অতিথি সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই হাজার। তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীদের অনেকেই পৌঁছেছিলেন এদিন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে মদন মিত্র, অরূপ বিশ্বাস থেকে জুন মালিয়া, সোহম চক্রবর্তীর দেখা মিলল এদিন। হাজির ছিলেন টেলিপাড়ার পরিচিত মুখেরাও। ‘সোহগ জল’ পরিবার থেকে পৌঁছেছিলেন শ্রীতমা, অস্মিতারা। বেণীর বিয়ের অনুষ্ঠানে ‘জুঁই’ শ্বেতার দেখা না মিললেও ছায়াসঙ্গীর মতো সারাক্ষণ নতুন কনেকে আগলে রাখলেন শ্রীতমা।
কেক কাটার মুহূর্তে সৌম্য-সুদীপ্তা
সুদীপ্তার কথায়, ‘কোনও মেয়ের জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস যখন শুরু হয়, তখন এতটাই স্বপ্নের মতো হওয়া উচিত, যা আজকে আমাদের জন্য হয়েছে। আমি সত্যিই সৌভাগ্যবান বক্সী পরিবারের অংশ হয়ে, অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই সকলকে। আমার শ্বশুর মশাই, আমার মাম্মাম (শাশুড়ি), আমার ননদ- সকলের থেকে এতো ভালোবাসা পাচ্ছি, আমি সত্যি সৌভগ্যবতী’।
রিসেপশনে একদম রাজকন্যের বেশে পাওয়া গেল সুদীপ্তাকে। লেহেঙ্গার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে গলায় হিরের হার আর ঢেউ খেলানো খোলা চুলে অপরূপা নতুন কনে। কলকাতারই এক নামী ডিজাইনারের লাখ টাকার লেহেঙ্গায় ধরা দিলেন অভিনেত্রী। তবে ফিউশনে সাজে থাকল বাঙালিয়ানার ছোঁয়াও। হাতে শাঁখা-পলা, মাথাভর্তি সিঁদুরে দেখা মিলল সৌম্য বক্সী ঘরণী।
শ্রীতমার সঙ্গে সুদীপ্তা, খাবার টেবিলে বরের পাশে হাসি মুখে নতুন কনে
বছর দেড়েক আগেই সৌম্যর সঙ্গে প্রেমে শিলমোহর দিয়েছিলেন সুদীপ্তা, এবার চার হাত এক হল। তিন বছর ধরে চুটিয়ে প্রেম করছেন তাঁরা, সোশ্যাল মিডিয়াতেও রোম্যান্সের ঝলক উঠে আসে মাঝেমধ্য়েই। অবশেষে কাঙ্খিত পরিণতি পেল সৌম্য-সুদীপ্তার সম্পর্ক। বিয়ের পর আপতত হানিমুনে যাচ্ছেন না জুটি। শীঘ্রই শ্যুটিং ফ্লোরে ফিরতে হবে সুদীপ্তাকে। সামনেই পঞ্চায়েত ভোট, তার আগে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যস্ত তৃণমূলের যুবনেতা সৌম্য। তাই বিয়ে পরবর্তী আচার-অনুষ্ঠান শেষ করেই কাজে ফিরবেন নবদম্পতি।