তাঁর লেখা Five Point Someone বই এর গল্প অনুসারে লেখা হয়েছিল আমির খান অভিনীত 3 Idiots-এর কাহিনি। কিন্তু তাঁকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ চেতন ভগতের। এমনকী প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া তাঁর সঙ্গে এত খারাপ ব্যবহার করেন যে তিনি আত্মহত্যা করার কথাও ভেবেছিলেন বলে টুইটারে জানিয়েছেন এই বেস্ট সেলিং লেখক।
এদিন আচমকাই চেতন ভগত ফিল্ম সমালোচকদের হুঁশিয়ারি দেন যে সুশান্তের শেষ ছবি দিল বেচারার যেন কোনও ভুলভাল রেটিং না দেওয়া হয়। তিনি বলেন যে জনতা দেখছে সব কিছু। তখন অনুপমা চোপড়া, যিনি ভারতের প্রখ্যাত ফিল্ম ক্রিটিকদের একজন, সেই টুইটে আপত্তি করেন। ব্যাস, এতেই আগুনে ঘি পড়ে। চেতন ভগত বলেন যে অনুপমার বেশি কথা বলা উচিত না, কারণ তাঁর স্বামী যখন চেতনকে সুইসাইডের দিকে ঠেলে দিচ্ছিলেন, তখন তিনি চুপ ছিলেন।
প্রসঙ্গত সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা তত্ত্ব জনপ্রিয় হয়েছে যে ইচ্ছা করে সুশান্ত সিং রাজপুতকে টার্গেট করতেন অনুপমা চোপড়া ও রাজীব মসান্দের মতো সমালোচকরা। প্রসঙ্গত, এদিন অনুপমা চোপড়ার সঙ্গে চেতন ভগতের ঝগড়া হল এমনই সময় যখন সুশান্তের মৃত্যু নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে পুলিশ স্টেশনে বসে ছিলেন রাজীব মসান্দ। অনেকেরই অভিযোগ, ব্লাইন্ড আইটেমে যেভাবে সুশান্তকে টার্গেট করতেন রাজীব, সেটা আরো তাঁকে মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত করে দেয়।
চেতন ভগত অবশ্য শুধু এতেই ক্ষান্ত হননি। বেশ কিছু ফিল্ম সাংবাদিককে নিশানা করেছেন তিনি। তাঁর মোদ্দা কথা হল, কিছু লোক ভালো ইংলিশ বলতে পারে বলে ধরাকে সরা জ্ঞান করেছে। এদের ডানা ছাঁটতে হবে। বলিউড সেলেবদের কাছেও চেতন আর্জি করেন এবার থেকে এই ফিল্ম সমালোচকদের কম পাত্তা দিতে।
২০০৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল সুপার হিট ছবি ৩ ইডিওটস। চেতনের বইয়ের সত্ত্ব কিনেই ছবি বানান রাজু হিরানি ও বিধু বিনোদ চোপড়া। কিন্তু চেতনকে ক্রেডিট শুরুতে না দিয়ে শেষে দেওয়া হয়। গল্প ও চিত্রনাট্যের জন্য ক্রেডিট দেওয়া হয়েছিল রাজু হিরানি ও অভিজাত যোশীকে। এই জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পান তাঁরা। ২০১০-এ একটি ব্লগ পোস্টে চেতন বলেন তিনি আর বিতর্ক বাড়াতে চান না, মুভ অন করে যাচ্ছেন এটা থেকে।
কিন্তু চেতন যে মুভ অন করতে পারেননি, দশ বছর পরেও রাগ পুষে রেখেছেন, এদিন সেটা প্রকাশ হয়ে গেল।