মুক্তির আগে থেকেই ট্রোলের শিকার হয়েছে বরুণ-সারার কুলি নম্বর-১। বড়দিনে এই ছবি মুক্তি পাবার পর থেকে নানাভাবে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের মুখে পড়তে হয়েছে গোটা টিমকে। দর্শকরা এই ছবিকে একেবারেই না-পসন্দ করেছেন তা জানান দিচ্ছে IMDb রেটিং তালিকাও। যেখানে কোনও ছবির রেটিং দিতে পারেন দর্শকরা। আপতত কুলি নম্বর-১ এর IMDb রেটিং মাত্র ১.৪! যা রেস থ্রি (১.৯), হিম্মতওয়ালা (১.৭)-র মতো সুপারফ্লপ বলিউড ছবির থেকেও কম।
করোনা আবহে সরাসরি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে পরিচালক ডেভিড ধাওয়ানের এই ছবি। ১৯৯৫ সালে গোবিন্দা ও করিশ্মাকে নিয়ে পরিচালক তৈরি করেছিলেন ‘কুলি নম্বর ১’, সেই ছবিরই রিমেক এই ফিল্ম। শুক্রবার মুক্তির পর প্রায় ২৩ হাজার দর্শক IMDb-তে এই ছবিকে নম্বর দিয়েছেন। এবং দুর্ভাগ্যবশত অডিয়েন্স রেটিংয়ে খুব খারাপ ফল বরুণ-সারাদের। যদিও বছরের সবচেয়ে খারাপ ছবি হওয়ার লজ্জা থেকে রেহাই পেয়েছেন জুটি, সবচেয়ে কম রেটিংয়ের তালিকায় শুরুতে রয়েছে আলিয়া ভাট-সঞ্জয় দত্তদের সড়ক ২। ডিজনি প্লাস হটস্টারে মুক্তি পাওয়া এই ছবির রেটিং মাত্র ১.০।
সমালোচকদের মন জয়েও মূলত ব্যর্থ হয়েছে এই ছবি। টুইটারেও খুব খারাপ রিভিউ কুলি নম্বর ১-এর। ছবিতে ঘিরে উপচে পড়ছে মজাদার মিম।
হিন্দুস্তান টাইমসের রিভিউ বলছে ‘ডেভিড ধাওয়ানের ছবি দেখতে গেলে বাস্তবকে বিসর্জন দিতেই হয়, তবে কুলি নম্বর ১-এর প্লট অপ্রত্যাশিতভাবে আজকের সময়ের সঙ্গে মিল খায় না। অণ্ডকোষে পুরুষের মার খাওয়া এবং সেক্সিজমের শিকার মহিলা…মানুষের ওজন, তাঁর কথা বলতে গিয়ে আটকে যাওয়া নিয়ে মশকরা- এই দিয়ে হাসানোর প্রচেষ্টা। এমনকি করোনভাইরাসও রেহাই পাওয়া যায় না কারণ এটি স্বাদহীন এবং অস্বাভাবিক রসিকতা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে’।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা বলিউডের মুখ বাঁচাতে ব্যর্থ বছরের শেষ রিলিজও। সব মিলিয়ে বি-টাউনের অন্যতম কালো বছর হয়ে থাকল ২০২০।