শুক্রবারই বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা কনিকা কাপুরের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তারপর থেকেই তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়ায়। লন্ডন থেকে মুম্বইয়ে ফিরে, সেখান থেকে লখনউতে গিয়ে হাইপ্রোফাইল পার্টিতে যোগ দিয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ করেছেন কনিকা, মত নেটিজেন থেকে বলিউডের অনেক তারকারও। প্রকাশ্যে কনিকার সমালোচনা করেছেন সোনা মহাপাত্র, বাপ্পি লাহিড়ীরা।
আপতত লখনউর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে কনিকাকে। সেখানেই চলছে গায়িকার চিকিত্সা। কিন্তু হাসপাতালের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন করোনা আক্রান্ত কনিকা কাপুর। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি জানান, তাঁকে নাকি সেখানে কোনওরকম খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালটিও নাকি একদম অপরিষ্কার। কনিকা বলেন, 'আমি সকাল ১১টা থেকে রয়েছি এবং আমাকে শুধু একটা জলের বোতল দেওয়া হয়েছে। এখানকার লোকজনকে আমি বারবার বলবার পর আমাকে খাওয়ার জন্য দুটো কলা এবং একটা কমলালেবু দেওয়া হয়েছে সেটায় মাছি ছিল। আমি প্রচন্ড ক্ষুধার্ত'।আক্ষেপের সুরে গায়িকা জানান, 'আমি এখনও ওষুধ খাইনি কিছু, আমি তাদের জানিয়েছি আমার জ্বর রয়েছে কিন্তু কেউ আমাকে দেখছে না। আমার কাছে খাবার আনা হয়েছিল কিন্তু ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাকে দেওয়া সব খাবার আমি খেতেও পারব না কারণ অনেক খাবারে আমার এলার্জি রয়েছে। আমি ক্ষুধার্ত,তৃষ্ণার্ত এবং এক কথায় এখানে অসহ্য লাগছে'।
যে চিকিত্সকের অধীনে করোনা আক্রান্ত এই গায়িকার চিকিত্সা চলছে, তার বিরুদ্ধেও তোপ দাগলেন কনিকা। তাঁর অভিযোগ, 'যে চিকিত্সক আমাকে দেখছেন তাকে যখন আমি জানাই আমি যে ঘরে রয়েছি সেটা পরিষ্কার করিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে, তিনি বলেন-এটা কোনও পাঁচতারা হোটেল নয় যে আমি সেরকম ট্রিটমেন্ট পাব। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের তরফে আমার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাদের সঠিক তথ্য না দেওয়ার জন্য এবং আমার সংক্রমণ লুকানোর জন্য। আমাকে এইভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে'। লখনউয়ের যে হাসপাতালে তাঁকে রাখা হয়েছে সেঠি নাকি একদম অপরিচ্ছন্ন। সেখানে অপরাধীদের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁর সঙ্গে, কনিকা বলেন, 'মনে হচ্ছে আমি জেলের মধ্যে রয়েছি'।
লখনউ পুলিশ আগেই কনিকা বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। এছাড়াও শনিবার বিহারের এক আদালতে গায়িকার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সরকারের নির্দেশ অবমাননা করা এবং নোবল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য। ৩১ মার্চ এই মামলার শুনানি।