সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে এসেছিলেন বিরিয়ানির জগতের বিখ্যাত নাম ‘দাদা বউদি বিরিয়ানি’-র দুই কর্ণধার। ধীরেন ও সন্ধ্যার হাত ধরে ব্যারাকপুরে চালু হয়েছিল দোকান। সেখানকার মানুষই ভালোবেসে নাম দিয়েছিল দাদা বউদির বিরিয়ানি। সৌরভ কথাপ্রসঙ্গে জানালেন, তিনি নিজে গিয়েও চেখে দেখে এসেছেন। এমনিতেই সৌরভ বিরিয়ানি পাগল। আর সামনে যদি অমন দুজন মানুষ থাকে, তাহলে খাসগল্প তো হবেই।
আমরা দাদা বউদি বলে থাকি। এঁরাই আসল দাদা আর আসল বউদি, পরিচয় করিয়ে দেন সৌরভ। ধীরেবনবাবু জানালেন, ১৯৭৫ সালে শুরু। অনেক কষ্ট করেছেন প্রথমে। সৎ পথে চলেছেন। মানুষকে ভালোবেসেছেন। আর সেখান থেকেই ভালোবেসে পেয়েছেন দাদা-বউদি নাম।
আরও পড়ুন: ‘হালকা মেকআপ করেছি শুধু…’, লাল ঠোঁট, গ্লিটারি চোখ,বিয়েবাড়িতে জমিয়ে সাজ নন্দিনীর
ধীরেনবাবু জানালেন, দিনপ্রতি ১ লাখ টাকা আয় হয়েই যায়। আগে তিনি হিসেবনিকেষ রাখলেও, এখন সব দায়িত্ব দুই ছেলে সঞ্জীব আর রাজীবের। সঞ্জীবাবু মা-বাবাকে সঙ্গ দিতে এসেছিলেন দাদার মঞ্চে। তাঁর মুখ থেকেই সৌরভ জেনে নিলেন বিরিয়ানির এই ব্যাবসার হাল হাকিকত।
আরও পড়ুন: ‘বউয়ের নামে না মামলা করে…’,সিপিএমের সায়নকে বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে কটাক্ষ রাজন্যার
সঞ্জীববু জানালেন, প্রতিদিন এক-একটা কাউন্টার থেকে ৪-৫ হাজার প্লেট বিরিয়ানি বিক্রি হয়। বছরে আয় হয় ১০০ কোটি মতো। রোজ ৮০০-১০০০ কিলো মাংস লাগে কিনতে। নিজেরা দেখে মাংস কেনেন সঞ্জীব ও রাজীব। সবসময় চেষ্টা করে যান তাঁরা যাতে বিরিয়ানির মান না খারাপ হয়। ৪০ বছর ধরে করে আসছেন বিরিয়ানি বানানোর কাজ।
আরও পড়ুন: ‘ওপরে ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না…!’, আরাম নিচ্ছেন দর্শনা, কোন যন্ত্রণায় সৌরভ?
সবশেষে সৌরভ-কন্যাকেও আমন্ত্রণ জানান তাঁরা নিজেদের দোকানে। সন্ধ্যাদেবী বলেন, ‘সানা এসো’। আর তাতে সৌরভের জবাব, ‘সানা শুধু গেলে হবে না, বিরিয়ানি নিয়েও আসতে হবে।’ এরপর দাদা বউদির বিরিয়ানি চেখেও দেখলেন সৌরভ। এমনকী, কেন সাউথ কলকাতায় কোনও শাখা খুলছেন না তাঁরা, তা নিয়ে ্ভিযোগও জানালেন দাদা।
দেখুন সেই ভিডিয়ো-
বর্তমান বাংলার ঐতিহ্যশীল ও প্রাচীন কিছু খাবারের দোকানের মানুষদের নিয়ে আয়োজন করা হয়েছিল দাদাগিরির এই এপিসোড। যাতে হাজির ছিল শক্তিগড়ের ল্যাংচা কুঠির দোকানের মালিক, শ্যামবাজারের বিখ্যাত হরিদাস মোদকের বর্তমান মালিক। এছাড়াও উপস্থিতি ছিল কলকাতার বিখ্যাত পাইস হোটেল মহল বর্তমানে যিনি চালাচ্ছেন, রোস্টেড কার্ট দোকানের তরুণ মালিক।