Dadagiri 10: আদুর গা হলেন না, তবে জার্সি ওড়ালেন সৌরভ! লর্ডসের স্মৃতি ফিরল দাদাগিরির মঞ্চে

Dadagiri 10: আদুর গা হলেন না, স্যুট-বুট পরেই টিম ইন্ডিয়ার জার্সি ওড়ালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। দাদাগিরির মঞ্চে ফিরল দাদাগিরি।

দাদাগিরির নতুন প্রোমো 

আর মাত্র দু-দিন। শুক্রবার থেকে জি বাংলার পর্দায় শুরু হচ্ছে ‘দাদাগিরি’ (Dadagiri 10)। 'বাঙালি আজও দাদাগিরি করে' এই বার্তা নিয়েই ফিরছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ‘দাদাগিরি’র মঞ্চ, থিম জুড়ে রয়েছে ‘দাদাগিরি’ তাহলে অনস্ক্রিনে একটু ‘দাদাগিরি’ না দেখালে চলে! আর সূদূর অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে মহিলা ভক্ত যদি ভালোবেসে আবদার করে, তাহলে সেই অনুরোধ কী ফেলা যায়!

দাদাগিরি সিজন ১০-এর গ্র্যান্ড ওপেনিং-এ ফিরবে ২১ বছর পুরোনো স্মৃতি। ২০০২ সালে ন্যাট ওয়েস্ট ট্রফির ফাইনাল জিতে লর্ডসের ব্যালকনিতে বসে জার্সি খুলে ওড়িয়েছিলেন সৌরভ। বাঙালির সেই দাদাগিরি হাঁ করে দেখেছিল গোটা বিশ্ব। এদিন দাদাগিরির মঞ্চে আদুর গা হলেন না ঠিকই, তবে জার্সি ওড়ালেন সৌরভ। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে এখন অনেক পরিপক্ক তিনি,তাই সেই পুরোনো কাণ্ড রিপিট করতে গিয়ে বেশ অস্বস্তিতে ভুগলেন সৌরভ। কিন্তু ফ্যানের অনুরোধ বলে কথা।

দাদাগিরি-র নতুন প্রোমোয় দেখা মিলল সৌরভ এবং তাঁর অন্ধ ভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের রত্না শর্মিলাকে। দাদার টানেই দাদাগিরির মঞ্চে ছুটে এসেছেন এই সৌরভ ভক্ত। এদিন সৌরভকে জাপটে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেল রত্না শর্মিলাকে। 

সরোদবাদক তথা শাস্ত্রীয় সঙ্গীতজ্ঞ ওস্তাদ আমজাদ আলি খান ও তাঁর দুই সুযোগ্য পুত্র আমান ও আয়ান আলি খানের সুরের মুর্ছনায় মেতে উঠবে দাদাগিরির গ্র্যান্ড ওপেনিং-এর মঞ্চ। ওস্তাদজি এবং সৌরভ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুভ সূচনা করবেন এঅ অনুষ্ঠানের। হাজির থাকবেন জি বাংলার নায়ক-নায়িকারাও। শুরুতে মনে করা হয়েছিল, পুজোর পর শুরু হবে ‘দাদাগিরি’, তবে তার আগেই নিজেদের তুরুপের তাস ঝুলি থেকে বার করল জি বাংলা কর্তৃপক্ষ। নাচে-গানে জমে উঠবে আসর।

৬ই অক্টোবর থেকে দাদাগিরি শুরুর পর ডান্স বাংলা ডান্স সপ্তাহে একমাত্র রবিবার টেলিকাস্ট হবে। গত সিজনেও শনি ও রবিবার রাতে সম্প্রচারিত হত ‘দাদাগিরি’। হঠাৎ করে কেন শুক্রবার ও শনিবারের স্লটে দেওয়া হল এই শো-কে? জল্পনা পুজোর পর ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ শেষ হলে শনি ও রবিবারের স্লটে দেওয়া হবে দাদগিরিকে। 

এই নিয়ে নবমবার ‘দাদাগিরি’র সঞ্চালক সৌরভ। এই শো-এর সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িয়ে রয়েছেন তিনি। একমাত্র ‘দাদাগিরি’র তিন নম্বর সিজন হোস্ট করেছিলেন মিঠুন, তা বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়নি।