Dadagiri 10-Holi:‘সাত দিন দোলের রং গায়ে’, ডোনার ভয়ে মুখে বুলি ফোটে না! কার নাচে মুগ্ধ হলেন সৌরভ?

Dadagiri 10: বসন্তের রং রঙিন বাংলা। দাদাগিরিতেও রঙের উৎসবের আমেজ। দাদাগিরির মঞ্চে ফের একবার দাম্পত্য জীবন নিয়ে বেফাঁস সৌরভ।

ডোনার ভয়ে কাঁটা সৌরভ

কিছুদিন আগে দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন সৌরভ খুব পজেসিভ বর। পাশাপাশি দাদাগিরির মঞ্চে দাঁড়িয়ে বউকে নিয়ে সব সত্যি কথা বলেন না সৌরভ, এমনটাও ফাঁস করেন ডোনা। তবে তাতে থেমে নেই মহারাজ। দম্পতিদের নিয়ে দাদাগিরির নতুন এপিসোডে ডোনার নামে নয়া অভিযোগ তাঁর।

বাড়িতে নাকি সারাক্ষণ ছড়ি ঘোরান ডোনা, বউয়ের দাপটে মুখে বুলিই ফোটে না সৌরভের। তাই তিনি বাইরে বেরোন কথা বলার জন্য। দম্পতিদের পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। কেউ বললেন, বাজার থেকে শুধু ট্যাংরা মাছ আনে বর, আবার কেউ জানালো বর ভীষণ বোরিং। ‘হুম’ ছাড়া কথার জবাবে কিছুই উত্তর মেলে না।

এমনটা শুনে সৌরভকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি বাইরে বেরোই কথা বলার জন্য, তাই বাড়িতে সাইলেন্ট’। যা শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন প্রতিযোগিরা। ডোনা সশরীরে হাজির না থাকলেও এই গেম শো-এর প্রতি এপিসোডেই উঠে আসে 'দাদা'র ম্যাডাম-এর প্রসঙ্গ। এই সপ্তাহেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। 

অন্যদিকে রবিবার দাদাগিরির মঞ্চে থাকছে হোলি স্পেশ্যাল পর্ব। এপিসোডের প্রথম প্রোমোয় সৌরভ ফাঁস করেছিলেন অনীকের প্রতি তাঁর ভালোবাসার কথা। অনীকে উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘তোকে আমার খুব পছন্দ’। নতুন প্রোমোর কেন্দ্রে ইন্দ্রাণী দত্ত কন্যা রাজনন্দিনী। টলিউডের চেনা মুখ রাজনন্দিনী। সৃজিতের ছবির নায়িকা সে, যিশু সেনগুপ্তের বিপরীতে অভিনয়ের জার্নি শুরু করেছিল এক যে ছিল রাজায়। শুধু অভিনয় নয়, নাচেও পারদর্শী মায়ের মতো। সঙ্গে সুগায়িকা। দাদাগিরির মঞ্চে ‘মোহে রং দো লাল’ গানে নাচতে দেখা গেল সুন্দরীকে।

রাজনন্দিনীর নাচে মুগ্ধ দাদা। হোলির স্মৃতি ভাগ করে জানাল, ‘কাদা দিয়েও হোলি খেলেছি’। অন্যদিকে সৌরভ জানালেন, ‘এমন এমন দোল গেছে যে সাতদিন শুধু দোলের রং গায়ে’। 

ক্রিকেট মাঠের লড়াকু সৌরভ কিন্তু এখন বাংলা টেলিভিশনের সলমন খান! ভাইজান ছাড়া যেমন বিগ বস অচল, তেমনই দাদাকে ছাড়া দাদাগিরি অসম্পূর্ণ। আর দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভের ব্যক্তিগত জীবনের খুঁটিনাটি হমেশাই অনাবৃত হয়। দোলের এপিসোডেও ছেলেবেলার স্মৃতি ভাগ করে নিতে ব্যস্ত মহারাজ।

সম্প্রতি দোল নিয়ে কথা বলতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে সৌরভ বলেন, 'আমি ছোটবেলায় খুব রং খেলতাম। তবে অবশ্যই পরিবারের লোকজন আর বন্ধু-বান্ধব থাকত। দোলের দিন রং খেলার পর ওই পোশাকেই দালানে খাওয়াদাওয়া হত। লাঞ্চে থাকত লুচি আর আলুরদম।’