দাদাগিরির মঞ্চে সবসময়ই চনমনে সৌরভ। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতেও গিয়েও কোনও রাখঢাক রাখেন না দাদা। ক্রিকেট প্রশাসকের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর পর এখন পরিবারকে অনেকটা সময় দেন সৌরভ। দেখতে দেখতে ২৩-এ পা দিয়েছেন সৌরভ কন্যা। বাবা-মা'কে ছেড়ে দীর্ঘদিন ধরেই লন্ডনে থাকেন সানা। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রিলাভ করে সেখানকার এক নামী কোম্পানিতে (INNOVERV) চাকরিরতা তিনি। দাদাগিরির মঞ্চে হামেশাই মেয়েকে নিয়ে নানান প্রশ্নের মুখে পড়েন সৌরভ।
স্ট্রেট ব্য়াটেই আসে জবাব। রবিবার রাতে দাদাগিরির মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত। গুগলির মুখোমুখি হওয়ার আগে সৌরভের উদ্দেশ্যে একটি গুগলি ছোড়েন তথাগতর প্রাক্তন। হবু জামাই-কে নিয়ে প্রশ্ন করেন সৌরভকে। জানতে চান, সানা তো এখন বড় হয়েছে। নিজ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। সানার পাত্র নির্বাচনের সময় হবু জামাইয়ের সামনে কোন তিনটে গুগলি রাখলেন দাদা? জিগ্গাসা করেন দেবলীনা।
হাল ছাড়ার বান্দা নন সৌরভ। তিনি পালটা বলেন, ‘প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে- আমেরিকার কোন শহরে বড়দিন পালন করার আগে নিউ ইয়ার পালন করা হয়? আর জামাই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে দিতে আমার মেয়ের দু-তিনবার বিয়ে হয়ে যাবে’। এরপরই দেবলীনাকে সৌরভ বলেন, আসলে এটা দেবলীনার গুগলি। যা শুনেই থ অভিনেত্রী। শত চেষ্টা করেও সঠিক জবাব দিতে পারেনি। তবে দর্শকাসন থেকে এক ছাত্র জানায়, আমেরিকার সব শহরেই আগে নিউ ইয়ার আসে ক্যালেন্ডার মেনে, তারপর ক্রিসমাস। এই উত্তরটাই আরও স্পষ্ট করে সৌরভ বলেন। জানান, আমেরিকা কেন, পৃথিবীর সব দেশেই তো ক্যালেন্ডারানুসারে আগে নিউ ইয়ার, পরে ক্রিসমাস। তখন অবশ্য হাত কামড়ানো ছাড়া আর গতি নেই দেবলীনার।
এই এপিসোডেরই অপর একটি অংশ সোনালি চৌধুরীকে তাঁর সন্তানের খোঁজ নেন সৌরভ। অভিনেত্রী জানান, ছেলে এখন আড়াই বছরের। এ কথা শুনে সৌরভ বলেন, ‘এই সব শুনলেই মনে হয় আমি কবেকার লোক। সানার ২১ হয়ে গেল।’ পাশ থেকে রাহুল বন্দ্যোপাধ্যায় বলে ওঠেন, ‘সি ইজ ডুয়িং ওয়ান্ডারফুল’ (খুব ভালো কাজ করছে সানা)। মেয়ের প্রসংসা শুনে গর্বিত বাবা সৌরভ বলেন, ‘সি ইজ ডুয়িং টু মাচ’ (সানা একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করছে)।
সানা টুয়েলভ পাস করেন কলকাতার স্বনামধন্য লোরেটো হাউস স্কুল থেকে। আইএসসি-তে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৯৮ শতাংশ। তাই বিশ্বের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেতেও কোনও সমস্যা হয়নি। বাবা-মা'র সাফল্য কোনওদিন মাথায় চেপে বসেনি সানার। স্নাতক ডিগ্রি হাতে পাওয়ার আগেই বিশ্বের অন্যতম সেরা মাল্টিন্যাশন্যাল কোম্পানি পিডব্লুসি (PWC) লন্ডন থেকে ইন্টার্নশিপ করেন। এরপর যোগ দিয়েছিলেন কনসাল্টিং ফার্ম ডেলোয়েটে। গত বছরের শেষেই কনসাল্টিং ফার্ম INNOVERV-এ চাকরিতে যোগ দিয়েছেন সানা গঙ্গোপাধ্যায়।