গত ১৫ই ডিসেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়েন সৌরভ-দর্শনা। দেখতে দেখতে বিয়ের দেড় মাস অতিক্রান্ত। জাঁকজমক করেই সাত পাক ঘুরেছেন সৌরভ-দর্শনা জুটি। স্বামী-স্ত্রীর সাজানো সংসার। বিয়ের পর কাজের ব্যস্ততা, এখনও হানিমুনে যেতে পারেননি দুজনে। আরও পড়ুন-‘আশপাশটা আর দেখতে পায় না…’, বিয়ের মাত্র ১ মাস, সৌরভের কী দোষ খুঁজে পেলেন দর্শনা?
নভেম্বরের শেষে সোজা বিয়ের ঘোষণা দিয়ে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন সৌরভ-দর্শনা। তাঁদের প্রেম নিয়ে একটা জল্পনা ছিলই, কিন্তু বিয়েটা যে হুট করে সেরে ফেলবেন তা কেউ ধরতে পারেনি। কিন্তু কথায় আছে না যার শেষ ভালো তার সব ভালো। রূপকথার মতোই ছিল সৌরভ-দর্শনার বিয়ের আয়োজন। রাজকীয় বিয়ের ঝলক সোশ্যালে ভাইরাল হয়। সেই নিয়ে আলোচনা যেমন হয়েছে, তেমন সমালোচনাও হয়েছে।
সাবেকি রীতি মেনে বিয়ে করলেও সৌরভ-দর্শনা বিয়েতে থেকেছে বলিউডের ছোঁয়া। ট্রেন্ড মেনে একসঙ্গে গায়ে হলুদ হয়েছে জুটির। শুভদৃষ্টির আগে হবু বর-কনে পরস্পরের মুখ দেখে না। বরের গায়ে ছোঁয়ানো হলুদ আসে কনের বাড়িতে, সেই হলুদ গায়ে মেখে স্নান সেরে বিয়ের সাজ গায়ে পরে কনে। এটাই নিয়ম। কিন্তু ফিল্মি টুইস্ট যোগ হলে নিয়মে একটু রকম-ফের চলে। দর্শনা-সৌরভের গায়ে হলুদের ছবিতে কেউ লিখেছেন, ‘একসঙ্গে গায়ে হলুদ, সে আবার কী জিনিস! যত্ত আদিখ্যেতা’। তো কেউ একটু সুর নরম করে লেখেন, ‘একসঙ্গে বর-কনের গায়ে হলুদ হয় না মোটেই’। এই নিয়ে দর্শনার কী বক্তব্য?
সম্প্রতি এসভিএফ স্টোরিজের সঙ্গে একান্ত আড্ডা দেন দর্শনা। সেখানেই অভিনেত্রী অনন্য়া সেনকে দর্শনা মনের কথা জানান। 'মানুষ নিয়ম তৈরি করে, মানুষ নিয়মই ভাঙে, আবার মানুষই নতুন নিয়ম তৈরি করে। তাই শান্তিতে থাকুন', অনুরাগীর এই বক্তব্যের রেশ টেনে দর্শনা যোগ করেন- ‘আসলে আগেকার দিনের নিয়ম অনুযায়ী হয়ত করা উচিত নয়। তবে এখন ঠিক আছে, Chill’।
অন্যদিকে একই এপিসোডের অপর এক অংশে বিবাহিত সঙ্গীর কোন স্বভাব খারাপ আর সবচেয়ে ভালো জানতে চাওয়া হলে জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘ও যখন কোনও কাজ করে, তাতে এতটা নিজের মনযোগ দিয়ে ফেলে। সেটাই ওর ধ্যানজ্ঞান হয়ে যায়। জীবনের যে কোনও সিদ্ধান্তেও এতটাই নিজেকে ইনভলভড করে ফেলে, আশপাশটা আর দেখতে পায় না। যখন ক্যাফে শুরু করছিল, দিনরাত ওটা নিয়েই পড়ে। মনে হত তখন ওর ক্যাফের ব্যবসাটাই ওর সবকিছু, ধ্যানজ্ঞান। এটা আছে ওর। এটাই ওর প্লাস পয়েন্ট আবার এটাই মাইনাস পয়েন্ট।’
এরপর দর্শনাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বরকে তিনি দশের মধ্যে কত নম্বর দেবেন? যাতে একটু মস্করা করেই বলেন, এখনও তো সবে কিছুদিন হয়েছে, এখন সবই ভালো লাগছে। ১০-এ ১০ দেব।'