জনপ্রিয় গায়ক কেকে-র মৃত্যু ঘিরে বিতর্ক অব্যাহত। কেকের মৃত্যুর পর নজরুল মঞ্চের ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গত সোমবার থেকে শহরে ছিলেন কেকে। টানা দুই দিন নজরুল মঞ্চে তাঁর শো ছিল। মঙ্গলবার শো চলাকালীন মঞ্চে অসুস্থ দেখাচ্ছিল তাঁকে। হোটেলে ফিরে আসার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। গায়কের মৃত্যুর পর অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে বিভিন্ন মহলে। রাজ্যের শাসকদল এবং তার ছাত্র সংগঠনকে নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। একই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে হলের পরিকাঠামো ব্যবস্থা।
কে কে-র মৃত্যুর জন্য প্রশাসন বা পুলিশকে দোষারোপ করা হচ্ছে। বিষয়টা নিয়ে বাড়াবাড়ি হচ্ছে মন্তব্য তৃণমূল সাংসদ-অভিনেতা দেবের। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দেব বলেন, ‘গ্রামে-গঞ্জে বা কোনও মলে যখন কোনও মিউজিক লঞ্চ হয়, আমার ক্ষেত্রেও, যেভাবে লোকে আসে আমারই ভয় লাগে। কিন্তু এটা একজন শিল্পীর প্রতি তাঁদের ভালোবাসা। তাঁকে দেখার তাগিদ, চাহিদা। এটা সরকারের দোষ, এটা পুলিশের দোষ না কি আয়োজকদের দোষ জানি না। আমরা সবসময়েই বলি যে সরকারের দোষ। কিন্তু তা তো আসলে নয়।’ আরও পড়ুন: রূপঙ্করের বিতর্কিত ভিডিয়োতে নিজেদের নাম শুনে বিব্রত রাঘব, সোমলতা! কী বলছেন?
তারকা সাংসদ এ দিন আরও বলেন, 'পুলিশ তো সারাক্ষণ গিয়ে দেখবে না যে কোথায় কত লোক এসেছে। তাহলে তো সব শো বন্ধ করে দিতে হয়। সব রাজনৈতিক সভা বা মিছিল বন্ধ করে দিতে হবে। করোনার সময়ে তো বিধিনিষেধ সত্ত্বেও প্রচুর লোক নিয়ে মিছিল হয়েছে। তাই আমার মনে হয় আওয়াজ তুললে একটামাত্র ঘটনা নিয়ে আওয়াজ তোলা উচিত না। এটা যদি ভুল হয় তাহলে সবকটা ভুল। কিন্তু আগেরগুলো যদি ঠিক হয় তাহলে এবার মনে হয় একটু বেশি বাড়াবাড়ি হচ্ছে।'
তিনি সাফ বলেন, 'কলকাতা এমন একটা শহর হয়ে যাচ্ছে, যেখানে প্রতিটা ইস্যুতে রাজনৈতিক রঙ লাগছে। তাহলে তো আমাদের প্রথম থেকেই বলা উচিত ছিল। করোনার মধ্যে যেভাবে আমরা রাজনৈতিক ব়্যালি করেছি, ক্যাম্পেন করেছি। লক্ষ, লক্ষ মানুষ এসেছে। স্টেজে উঠে আমি মানুষকে আসতে না করেছি। তখন তো আওয়াজ ওঠেনি। এটা শিল্পীর প্রতি মানুষের ভালোবাসা। তাঁকে দেখার তাগিদ, চাহিদা। আমিও কেকে'র ফ্যান। আমার সহানুভূতি রয়েছে। ওটা যদি ঠিক হয়, যেখানে ৫০০ জনের জায়গায় ৫০ হাজার, এক লক্ষ লোক এসেছে, তাহলে এটাও ভুল নয়।'