মেয়েদের কাছে প্রথম হিরো হয় তাঁর বাবাই। বেশিরভাগ মেয়েই এমন একজনকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেতে চান, যার মধ্যে রয়েছে তাঁর বাবার ছাপ। মেয়ের মুখে হাসি ফোটাটে কার্পণ্য করেন না কোনও বাবাই, তা সে মেয়ের বয়স যতই হোক না কেন। অভিনেত্রী দেবলীনা কুমার বাবা দেবাশিস কুমারের এমনই একটা দিক তুলে ধরল সমাজমাধ্যমে।
দেবলীনার শেয়ার করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বাবার সঙ্গে ট্র্যাম্পোলিনের উপরে বসে আছেন তিনি। দেবাশিসবাবু পরে আছেন সাদা-কালো শার্ট। আর দেবলীনা পরেছেন গ্রে রঙের সোয়েটার আর নীল জিন্স। দুজনের মুখেই গালভরা হাসি।
বাবার এই ছবিখানা শেয়ার করে দেবলীনা লিখলেন, ‘এই ছবিটাই অনেক কথা বলে। বাবা ট্র্যাম্পোলিনের উপর উঠেছিল কারণ আমি বলেছিলাম, আর আমার জন্মদিন ছিল। এই জন্যই তুমি আমার বাবা। শুভ জন্মদিন বাবা।’
বাবার সঙ্গে বন্ডিং শেয়ার করে নিয়েছিলেন দেবলীনা দিদি নম্বর ১ শো-তে এসেও। সেখানে মা দেবযানী কুমারের সঙ্গে এসেছিলেন তিনি। রচনার কাছে অভিযোগ জানিয়ে বলেছিলেন, নিজের সবটুকু এনার্জি জিম আর সাইকেলিং করতেই খরচা করে দেন দেবলীনা। আদতে দেবলীনা নাকি ভীষণ কুঁড়ে, সঙ্গে বাবার খুব আদুরেও। এক গ্লাস জলও নিজে নিয়ে খায় না। সেটাও বাবাকে মুখের সামনে দিতে হয়।
একবার একথা নিজেও লিখেছিলেন দেবলীনা সোশ্যালে। বাবাকে দিয়ে জিমে ঘাম ঝারানো করাচ্ছিলেন। মেয়ের সব নির্দেশ মেনে শরীরচর্চা করছিলেন দেবশিস। আর সেইসময় ভিডিয়োর ক্যাপশনে দেবলীনা লেখেন, ‘আমাদের সম্পর্কটা এইরকমই। আমি খুব আদুরে, আমি বাবাকে দিয়ে সব কাজ করাই। আর মজার ব্যাপার হল উনি কখনও আমাকে না বলেন না।’
প্রাক্তন, গোত্র, হামি, মায়া ইত্যাদি ছবিতে দেখা গিয়েছে দেবলীনাকে। পুজোতে মুক্তি পেয়েছিল রক্তবীজ। রাজর্ষী দে-র সাদা রঙের পৃথিবী-তে দেখা যাবে দেবলীনা কুমারকে এরপর। এছাড়াও আজকাল সিনেমার পাশাপাশি দেববীনা কাজ করছেন ধারাবাহিকে। সঙ্গে অধ্যাপনার পেশার সঙ্গেও যুক্ত। এছাড়াও শরীরচর্চার জন্য সময় বের করেন রোজ। তা সে কাজের ব্যস্ততা যতই বাড়ুক না কেন। কখনও ভোরবেলা সাইকেল নিয়ে চষে বেড়ান শহর কলকাতা, তো কখনও আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দেন জিমে। আর ডায়েট ফাঁকি দিয়ে কোনওদিন একটু বেশি খাওয়াদাওয়া হয়ে গেলেই, পরদিন ডবল কসরত।