বলিউডে পুরুষদের পাশাপাশি মেয়েদেরও সমান অধিকার দাবির সমর্থনে নারীকেন্দ্রিক ছবিতে বেশি দেখা যায় তাঁকে। শেষ কয়েক বছরে বেশ কয়েকটি নারীকেন্দ্রিক ছবি যেমন থাপ্পড় (২০২০) আর কাফিরে (২০১৯) লিড রোলে দেখা গিয়েছিল দিয়া মির্জাকে। ২০১৯ সালে দিয়া একটি প্রোডাকশন হাউসও শুরু করেন। নারীকেন্দ্রিক ছবি নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে থেকেই সেটির পথচলা শুরু। সম্প্রতি তেমনই একটি ছবিতে দেখা যাবে তাঁকে। তাপসী পান্নুর প্রযোজনায় ‘ধকধক’ ছবিতে অভিনয় করছেন দিয়া মির্জা। মঙ্গলবার এক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে নিজের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সন্তানের জন্ম দিলেন বাংলাদেশের মাহিয়া মাহি! ছেলে হল না মেয়ে?
আরও পড়ুন: নিকের সঙ্গে প্রেম চাননি প্রিয়াঙ্কা! প্রস্তাব যখন পান, তখন ছিলেন ‘জটিল সম্পর্কে’
তাপসী পান্নুর প্রযোজনায় ‘ধকধক’ সিনেমায় লিড রোলে থাকছেন চার তাবড় নায়িকা। চার মেয়ের বাইকে করে ঘুরতে বেরিয়ে পড়ার গল্প ‘ধকধক’। দিয়া মির্জার সঙ্গে লিড রোলে থাকছেন রত্না পাঠক শাহ, ফতিমা সানা শেখ, সঞ্জনা সঙ্ঘি। প্রযোজক হিসেবে কেমন তাপসী পান্নু? সেই অভিজ্ঞতার কথাই এই দিন সংবাদমাধ্যমকে জানান দিয়া। প্রশংসার সুরে বলেন, তাপসীকে চোখ বুজে বিশ্বাস করা যায়। প্রাঞ্জলের (খান্দদিয়া) সঙ্গে প্রযোজনার কাজ দারুণ সামলাচ্ছে ও। এছাড়াও কখন কী ঘটছে(শুটিং স্পটে) তার সব খবর রাখে। দিয়া জানান, শুটিংয়ের পর ছবির প্রথম কাটও দেখেছেন তাপসী। দেখার পর সবাইকে মেসেজ করেন। অভিনেত্রী হিসেবে যা বড় প্রাপ্তি। একইসঙ্গে ‘ধকধক’এর মতো নারীকেন্দ্রিক ছবির প্রযোজক হওয়ার জন্যও তাপসীর প্রশংসা করেন দিয়া।
‘ধকধক’এর সেটে শুটিং করতে করতে কোন অভিজ্ঞতা সবচেয়ে ভালো লেগেছে? এমন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতেই দিয়া বলেন, এই ছবিতে এমন একটি বিষয়ে কাজ করার সুযোগ পাওয়া গিয়েছে যা ব্যক্তিগত স্তরেও একজনকে অনেকটা সমৃদ্ধ করে। তবে সবচেয়ে মজার অভিজ্ঞতা হল, ৪০ বছর বয়সে বাইক চালাতে শেখা। চারজনের সঙ্গে এই বাইক চালানোর সময় দারুণ মজা হয়েছে। দিয়া জানান, তাঁর নিজের প্রযোজনায় হাতেখড়ি হয় ২৬ বছর বয়সে। সেই দিক থেকে ৪১ বছর বয়সী দিয়ারও প্রযোজনার অভিজ্ঞতা রয়েছে বেশ ভালোই। সে কথা তুলেই তাপসীর প্রযোজনা দক্ষতার প্রশংসা করেন তিনি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup