‘দিদির নম্বর ১’-এর মঞ্চে এবার বিশেষ পর্বে গৃহিণীদের সঙ্গে হাউস হেল্পাররা। তাঁদের সঙ্গে গল্প আড্ডায় মেতে উঠেছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। প্রতিযোগী রীতু অধিকারী এ দিন দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে এসে নিজের জীবনের অদ্ভুত অভিজ্ঞতার কথা ফাঁস করেন। পেশায় রীতু দেবী পরিচারিকা।
শুরুতেই প্রতিযোগী রীতুর রচনাকে প্রশ্ন, ‘দিদি আপনি ভূত দেখেছেন?’ সঞ্চালিকা-অভিনেত্রী বলে ওঠেন ‘না’। এরপরই ওই প্রতিযোগী বলেন, ‘আমরা দেখেছি।’ এরপরই নিজের জীবনের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে বলেন, ‘সকালবেলা বেল মারতেই, দরজা খুললে দেখব মুখে মেকআপ করে, হাতে মেহেন্দি পরে দরজা খুলছে। বলবে, এইটা করে দাওনা গো! ওইটা করে দাওনা! একটু চা বসিয়ে দাওনা! আমি চা খাবো।’ পরিচারিকার কথায়, তাঁর মালকিন হিরোইন নয়, কিন্তু বাড়িতে সেজেগুজে থাকে সব সময়। আরও পড়ুন: ‘গোল্ডেন গার্লদের হোস্ট করাটা গর্বের’, পিভি সিন্ধু, জারিন নিখাতদের সঙ্গে কপিল
এরপরই রচনার মন্তব্য, তিনি এত ভালো পরিচারিকা যে কিছুই করতে হয়না। সঙ্গে সঙ্গে রীতু দেবীর মন্তব্য, 'মাইনে বাড়ানোর ক্ষেত্রে.. ব্যাস!' এরপরই তাঁদের খানিক অভিযোগ, বছরে মাইনে বাড়ানোর ক্ষেত্রে নাকি অনেক সময় মালিকরা ভুলে যান। তবে রীতু দেবীর মন্তব্য, ‘যখন সাহায্য়ের প্রয়োজন হয় তাঁরা সাহায্য করেন। টাকাপয়সা বা অন্য ক্ষেত্রে। কিন্তু মাইনে বাড়ানোর ক্ষেত্রে ভুলে যান।’ এই শুনে হো হো করে হেসে ফেলেন রচনা। আরও পড়ুন: এই ৫ ডাউন-টু-আর্থ আচরণে ‘লাইগার’ অভিনেতা বিজয় দেবেরাকোন্ডা ভক্তদের মন জয় করেছেন
রচনার কথায়, গৃহিণী-পরিচারিকাকে একে অপরকে বুঝতে হবে। গৃহিণী প্রতিযোগী মিতালী দেবীর মন্তব্য, ‘তাঁরা একে অপরের পরিপূরক।’ রচনা তাঁদের বোঝাপড়ার বিষয় নিয়েও নানান মিষ্টি মন্তব্য রাখেন।