সদ্য স্বামী ভরত তখতানির সঙ্গে দীর্ঘ ১২ বছরের সংসার ভেঙে বের হয়ে এসেছেন এষা দেওল। গুঞ্জন ছিল ভরত-এষার সম্পর্ক ভালো নেই। তবে হঠাৎ করে এষা-ভরত বিবাহ-বিচ্ছেদের কথা ঘোষণা করাতে অনেকেই হতবাক! এই বিবাহ-বিচ্ছেদ নিয়ে নানান কথা শোনা যাচ্ছে।
তবে বিচ্ছেদের পর কেমন আছেন এষা? মুষড়ে পড়েছেন, নাকি নিজেকে সামলে নিয়েছেন? এমন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে অনেকের মনে।
বিমানবন্দরে এষা
ভরত তখতানির সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘোষণার পর এষা কেমন আছেন, সেই প্রশ্ন যখন অনেকের মনে ঘোরাফেরা করছে, ঠিক তখনই মুম্বই বিমানবন্দরে দেখা গেল অভিনেত্রী এষা দেওলকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসা ভিডিয়োতে এষাকে বিমানবন্দরে নিজের গাড়ি থেকে নামতে দেখা গেছে। টার্মিনালের দিকে এষা হাঁটতে শুরু করলে পাপারাৎজি তাঁকে ছবি তোলার জন্য অনুরোধ করেন। এষা দাঁড়িয়ে পাপারাৎজির ক্যামেরায় পোজ দেন, হাসেন। এরপর পাপারাৎজি এষাকে প্রশ্ন করে আপনি কেমন আছেন? এষা উত্তরে বলেন ‘ম্যায় ঠিক হুঁ। আপ লোগ কায়সে হো (আমি ভাল করছি। আপনারা কেমন আছেন আপনি)?’
টার্মিনালে ঢোকার আগে পাপারাৎজির উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন এষা। এষা পরেছিলেন ক্রপড হোয়াইট টপ, ডেনিম জিন্স ও সাদা জুতো। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে এষা পরেছিলেন টুপি, সঙ্গে ছিল ব্যাগ।
আরও পড়ুন-পিঙ্কি, শ্রীময়ী কে তো চেনেন! কাঞ্চনের প্রথম স্ত্রীও পরিচিত অভিনেত্রী, চেনেন নাকি?
এষা-ভরতের বিচ্ছেদ
এর আগে যৌথ বিবৃতি দিয়ে বিবাহ-বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন এষা ও ভরত। দীর্ঘ ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছিলেন তিনি। সংবাদ সংস্থা ANI-কে তাঁরা জানিয়েছিলেন, ‘আমরা পারস্পরিক ও বন্ধুত্বপূর্ণভাবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের আমাদের জীবনের এই পর্যায়ে এসেও আমাদের দুই সন্তান যাতে ভালো থাকে, সেটাই এখন আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আশা রাখি আমাদের এই গোপনীয়তাকে সম্মান জানানো হবে।’ তবে ঠিক কারণে বিচ্ছেদে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে শোনা যাচ্ছে মেয়ে এষা দেওলের এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তে খুশি নন বাবা ধর্মেন্দ্র। তাঁর আশঙ্কা এই বিচ্ছেদ এষা ও ভরতের মেয়ে রাধ্যা ও মিরায়াকে 'খারাপভাবে প্রভাবিত' করতে পারে। দেওল পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘কোনও বাবা-মাই তাঁদের সন্তানদের সংসার ভাঙলে খুশি হতে পারেন না। ধর্মেন্দ্রজিও একজন বাবা, তিনিও তাই এটা চাননা। তিনি তাঁর মেয়ের বিচ্ছেদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। ধর্মেন্দ্র চান, এষা নিজের সিদ্ধান্ত আরও একবার ভেবে দেখুক।’