খুব শীঘ্রই অন্ধ উদ্যোগপতি ‘শ্রীকান্ত’-এর বায়োপিকে ধরা দেবেন অভিনেতা রাজকুমার রাও। 'শ্রীকান্ত' হয়ে উঠতে নিজের লুক এক্কেবারেই বদলে ফেলেছেন রাজকুমার। নিজের এই বদলে যাওয়া লুকে সম্প্রতি মুম্বইয়ে দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে হাজির হয়েছিলেন রাজকুমার। সঙ্গে স্ত্রী পত্রলেখা।
দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে কালো টি-শার্ট এবং জিন্স পরে হাজির হয়েছিলেন রাজকুমার। বড় চুলে এদিন একটু অন্যরকমই দেখাচ্ছিল রাজকুমারকে। তাঁর সেই ছবি নেটপাড়ায় উঠে আসতেই তাঁকে ট্রোল করতে শুরু করেন নেটনাগরিকরা। অনেকেই এদিন রাজকুমারের বদলে যাওয়া চেহারা খেয়াল করেছেন।
নেটনাগরিকদের অনেকেরই দাবি, রাজকুমার তাঁর মুখে কসমেটিক সার্জারি করেছেন। অনেকেই রাজকুমারের পুরনো ছবি আর এখনকার ছবি পাশাপাশি শেয়ার করে দাবি করেছেন, রাজকুমার তাঁর মুখে অবশ্যই সার্জারি করিয়েছেন। কারোর দাবি, রাজকুমারের থুতনিটা, চোয়ালটা দেখলেই বুঝতে পারবেন যে উনি সার্জারি করেছেন। কেউ লিখেছেন, রাজকুমার অনুরাগ কাশ্যপ ও করণ জোহরের ছবির হাত ধরে বলিউডে পা রেখেছিলেন, সেই লুকের সঙ্গে এখনকার লুকের কোনও মিল নেই। কারোর প্রশ্ন, ‘কী দরকার ছিল রাজকুমারের এটা করার!’
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজকুমারকে তাঁর সার্জরির কথা প্রশ্ন করা হয়। তবে রাজকুমার এবিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করে যান। সাফ জানান, ‘নাহি ভাইয়া, কোন প্লাস্টিক সার্জারি নাহি হুয়ে’। তবে রাজকুমার যাই বলুন না কেন, তাঁর কথা বিশ্বাস করতে নারাজ নেটপাড়া।
প্রসঙ্গত, রাজকুমারকে ‘শ্রীকান্ত’-এর বায়োপিক ছাড়াও 'মিস্টার অ্যান্ড মিসেস মাহি'-ছবিতেও দেখা যাবে।এদিকে ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে রাজকুমার রাও অভিনীত 'শ্রীকান্ত' ছবির ট্রেলার। যেখানে অভিভূত সিনেমাপ্রেমীরা।
প্রসঙ্গত, শ্রীকান্ত বোল্লা হলেন একজন ভারতীয় উদ্যোগপতি। যিনি কিনা বোলান্ট ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৯২ সালে তিনি অন্ধ্রপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন। কৃষক পরিবারে জন্মান্ধ হয়ে জন্ম নিয়েও সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তৈরি করেন এক বিশাল সাম্রাজ্য। তাঁরই চরিত্রে অভিনয় করছেন রাজকুমার।