গদর-২ চলতি বছরের আলোচিত ছবিগুলির মধ্যে অন্যতম। মুক্তির পরই বেশ বোঝা গিয়েছিল সানি দেওল-আমিশা প্যাটেলের 'গদর-২' লম্বা রেশের ঘোড়া। অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবিকে ভালোবাসায় ভরিয়েছিলেন ভারতীয় সিনেমার দর্শকরা। তবে নাহ, শাহরুখের 'জওয়ান' মুক্তির পর যেন ক্রমাগত কঠিন হয়ে পড়েছে গদর-২ লড়াই। শুরুর দিকে শাহরুখের 'পাঠান'কেও একপ্রকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল এই ছবি। শেষপর্যন্ত কিং খানের কাছেই হার মানতে হল সানিকে। বক্স অফিসে শাহরুখের 'জওয়ান' এসে দাঁড়ানোর পরই যেন 'গদর-২' বিদায় নেওয়ার পালা এসেছে।
জানা যাচ্ছে, মুক্তির ৩৪ তম দিনে ৩৪ লক্ষ টাকা আয় করেছে এই ছবি। sacnilk.com-এর রিপোর্ট অনুসারে মুক্তির পঞ্চম সোমবারের গদর-২র আয় ছিল মাত্র ৭৫ লক্ষ টাকা। মঙ্গলবার তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৫০ লক্ষ। আর বুধবার সেই আয় আরও কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৪ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে গদর-২র আয় এই মুহূর্তে দাঁড়িয়েছে ৫২৫ কোটি টাকা। তাই ফিল্ম বাণিজ্য বিশ্লেষকদের মতে সানি দেওল-অভিনীত গদর-২র পাঠানের সর্বকালের রেকর্ড ৫৪৩ কোটি অতিক্রম করার সম্ভাবনা এখন অনেকটাই কম। তবে তার পরেও এখনও পর্যন্ত এই বছরের সর্বোচ্চ আয়কারী দ্বিতীয় ছবির তালিকায় রয়েছে গদর-২। ৩৪ দিনের মাথায় বিশ্বব্যাপী এই ছবির কালেকশন দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬৭৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন-বক্স অফিসে শাহরুখ 'শাসন'! সপ্তম দিনের মাথায় ‘জওয়ান’-এ ব্যবসা কত হল?
প্রসঙ্গত, গত ১১ অগস্ট মুক্তির দিনেই গদর ২, বক্সঅফিসে ৪০ কোটি টাকা আয় করে ফেলে। আর মাত্র এক সপ্তাহে এই ছবির আয় ছিল ২৮৪.৬৩ কোটি টাকা। দ্বিতীয় সপ্তাহের এই আয় দাঁড়িয়েছিল ১৩৪.৪৭ কোটিতে এবং তৃতীয় সপ্তাহে আয় হয়েছিল ৬৫.৩৫ কোটি টাকা। আর চতুর্থ সপ্তাহে তা কমে হয় ২৭.৫৫ কোটি। আর পঞ্চম সপ্তাহে জওয়ান আসার পর থেকে সানির ছবি দেখতে হলে দর্শক যাচ্ছেন না বললেই চলে। গদর ২র শুক্রবার আয় ছিল ৯০ লক্ষ। শনিবার তা হয় ১.৩৫ কোটি, রবিবারে ১.৬০ কোটি, সোমবার এক ধাক্কায় কমে দাঁড়ায় ৭৫ লক্ষে। আর মঙ্গবার ও বুধবার গদর-২র আয় আরও পড়তে শুরু করেছে।
এদিকে খ্যতনামা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ গদর-২, দ্য কাশ্মীর ফাইলস, দ্য কেরালা স্টোরির সাফল্য নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন। তাঁর কথায়, 'এখন আপনি যত বেশি জিঙ্গোইস্ট হবেন, তত বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন। কারণ এই ভাবনাই এখন দেশে চলছে। দেশকে ভালোবাসা স্পষ্ট নয়, তা ঢাকঢোল পিটিয়ে বলতে হবে। লোকেরা বুঝতে পারে না যে তারা যা করছে তা খুব ক্ষতিকারক। এই যেমন, 'কেরালা স্টোরি' এবং 'গদর ২'-এর মতো ছবি, আমি সেগুলি দেখিনি তবে আমি জানি সেগুলি কী।'