দেখতে দেখতে বি-টাউনে প্রায় এক দশক কাটিয়ে ফেললেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। করণ জোহরের পরিচালনায় ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ দিয়ে শুরু হয়েছিল সিদ্ধার্থের বলিউড সফর, তবে সহজ ছিল না সেই পথচলা। আজ সিদ্ধার্থের জন্মদিন। ৩৬-এ পা দিলেন অভিনেতা। বলিউডের আউটসাইডার হয়েও নিজের প্রচেষ্টায় দর্শক মনে এবং টিনসেল টাউনে পাকা জায়গা করে নিয়েছেন সিদ্ধার্থ।
একবার এক সাক্ষাত্কারে বলিউডের ব্রেক পাওয়ার আগের জীবন সম্পর্কে মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা। যখন অডিশনের লাইনে দাঁড়িয়ে ধাক্কা খেতে হয়েছে সিদ্ধার্থ, বহুবার খারাপ কথা শুনেছেন, প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন- তবে এক অদম্য জেদ নিয়ে লড়াই জারি রেখেছিলেন। সিদ্ধার্থ জানিয়েছিলেন অডিশনে অপ্রয়োজনীয়ভাবে উঠতি অভিনেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়, তা দুঃখজনক।
ডিএনএ'কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সিদ্ধার্থ বলেন, ‘বেশিরভাগ মানুষই সভ্য নন, এবং তাঁরা অপ্রয়োজনীয়ভাবে কঠোর। আর শুরু থেকেই আমার মধ্যে একটা অদ্ভূত আত্মসম্মানবোধ কাজ করত, যেটাকে অনেকে অহংকার বলে ভুল করত। আমি জানতাম আমি এইসব বাজে ভাবনার অনেক উপরে। আমি তো পালটা জবাব দিতাম, শালীনতা বজায় রেখে কথা বলুন। আমি একদম সঠিক ইংরাজিতে কথা বলতাম, সেটাও অনেকে পছন্দ করত না’। প্রথমবার পনড'স (Pond's)-এর একটি বিজ্ঞাপনে সোনাল চৌহানের সঙ্গে দেখা মিলেছিল সিদ্ধার্থের। তবে সেটি নিজের ঝুলিতে আসার আগে পর্যন্ত বহু কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন অভিনেতা।
‘মনে হত যেন ওটা কোনও জেলখানা, যেখানে তোমাকে তোমার নাম, নম্বর দিতে হবে কিছু একটা অ্যাক্টিং করে দেখাতে হবে। অর্ধেকে তো বুঝতেই পারত না কী চলছে! এবং সেই কাজগুলো নিয়ে কোনও জবাব আসত না। মানুষজন বোকা বোকা কাজ করতে বলত, যেমন ধরুন গাড়ি চালানোর অভিনয়, কিংবা কোনও অদ্ভূত উচ্চারণে কোনও ডায়লগ বলতে বলা হত’, জানিয়েছিলেন সিদ্ধার্থ।
অভিনেতা নয়, সহকারী পরিচালক হিসাবে ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন সিদ্ধার্থ। ধর্মা প্রোডাকশনের দোস্তানা এবং মাই নেম ইজ খান ছবিতে সহ পরিচালক ছিলেন সিদ্ধার্থ। সেখানেই করণ জোহরের সুনজরে আসেন তিনি। ‘অডিশনে তোমাকে খুব ছোট অনুভব করানো হয়, বোঝানো হয় তুমি কতটা অপ্রয়োজনীয়- সেই কারণে আমি সহকারী পরিচালক হয়ে গিয়েছিলাম। ওটা খুব নেগেটিভ একটা পরিবেশ ছিল। আমাকে কোনওভাবেই নিজের পরিসর বাড়াতে সেটা সাহায্য করেনি’, অকপট স্বীকারোক্তি সিদ্ধার্থের।