1/6 বলিউডে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার থেকে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে চর্চা বেশি শোনা যায়। স্বামী নাগা চৈতন্যের কাছ থেকে ভরণপোষণ গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু। তবে বেশিরভাগ বলিউড দম্পতির ক্ষেত্রে এটি ঘটেনি। হৃতিক রোশন-সুজান খান থেকে শুরু করে আরবাজ খান-মালাইকা অরোরা, বি-টাউনের সবচেয়ে ব্যয়বহুল বিবাহবিচ্ছেদ কোনগুলি-
2/6 ১৯৯১ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন সইফ আলি খান এবং অমৃতা সিং। সইফের থেকে ১০ বছরের বড় অমৃতা। দীর্ঘ ১৩ বছরের বিবাহিত জীবনে তাঁদের দুই সন্তান- সারা এবং ইব্রাহিম আলি খান। আইনি বিচ্ছেদের পর এক সাক্ষাৎকারে সইফ জানিয়েছেন, অমৃতাকে ৫ কোটি টাকা অ্যালিমনি দিতে বলা হয়েছিল অভিনেতাকে। যোগ করেছেন, ছেলে ইব্রাহিমের ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত প্রত্যেক মাসে ১ লক্ষ টাকা করে দিতেন তিনি।
3/6 হৃতিক এবং সুজান তাদের বিচ্ছেদের ঘোষণা করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন। দীর্ঘ ১৪ বছরের দাম্পত্য জীবন তাঁদের। দুই ছেলে রেহান এবং হৃদান। ২০১৩ সালে বিবাহবিচ্ছেদের সময় ৪০০ কোটি টাকা হৃতিকের থেকে ভরণপোষণের জন্য দাবি করেছিলেন সুজান। পরে ৩৮০ কোটি টাকায় নিষ্পত্তি হয়েছিল বলে জানা গেছে। তবে, হৃতিক তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে এই সমস্ত প্রতিবেদনকে মিথ্যে বলেছিলেন।
4/6 দীর্ঘ ১৬ বছরের বিবাহিত জীবন ফারহান-অধুনার। ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। এই দম্পতি দুটি মেয়ে- শাক্য এবং আকিরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, ফারহান অধুনাকে মাসিক পরিমাণের পরিবর্তে এককালীন ভরণপোষণ দিয়েছেন। দুই মেয়ের জন্য মুম্বইয়ে ১০ হাজার স্কোয়্যার ফিটের বিলাসবহুল বাড়ি ‘বিপাসনা’ তৈরি করে দিয়েছেন ফারহান। শিশুদের ভবিষ্যতের জন্য অভিনেতাকে বিনিয়োগ করতে হয়েছে। মেয়েদের দায়িত্ব মায়ের কাছে থাকলেও, যে কোনও সময় বাবা ফারহান দেখা করার অধিকার পেয়েছিলেন।
5/6 বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আগে ৫ বছর একে অপরকে ডেট করেন আরবাজ খান, মালাইকা আরোরা। ১৩ বছর একসঙ্গে থাকার পর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। বেশ কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মালাইকা ১০-১৫ কোটি টাকা অ্যালিমনি চেয়েছিলেন। তাঁদের একমাত্র ছেলের নাম আরহান।
6/6 সঞ্জয় কাপুরের সঙ্গে দীর্ঘ ১৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানেন করিশ্মা কাপুর। এই দম্পতির দুই সন্তান- সামাইরা এবং কিয়ান রাজ কাপুর। রিপোর্টে দাবি করা হয়, করিশ্মা মুম্বইয়ে সঞ্জয়ের পৈতৃক সম্পত্তি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়েছেন। ছেলেমেয়ের নামে ১৪ কোটির সম্পত্তি থেকে মাসে মাসে ১০ লক্ষ টাকা করে সুদ পান করিশ্মা। সঞ্জয় সেই সম্পত্তি কিনে রেখেছিলেন সন্তানদের নামে।