নাম শ্বেতা মিশ্রা। 'ইচ্ছে পুতুল' ধারাবাহিকের খলনায়িকা তিনি। ধারাবাহিকের গল্পে তাঁর নাম ‘ময়ূরী’। দুই বোন ‘মেঘ’ ও ‘ময়ূরী’র গল্প নিয়েই চলছে এই ধারাবাহিক। গল্পে একই ব্যক্তির প্রেমে পড়তে দেখা যায় ‘মেঘ’ ও ‘ময়ূরী’কে। মেয়ের সংসার ভাঙতে উঠে পড়ে লাগে বোন ‘ময়ূরী’। বেশকিছুদিন আগে দিদি নম্বর ওয়ান-এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন 'ময়ূরী' ওরফে শ্বেতা মিশ্রা। সেখানেই ফাঁস হয়েছে শ্বেতার ব্যক্তিগত জীবনের নানান কথা।
শ্বেতা মিশ্রা বলেন, কর্মসূত্রে তিনি পরিবার ছেড়ে কলকাতায় রয়েছেন। জন্মসূত্রে তিনি মারোয়াড়ি হলেও কলকাতায় থাকতে থাকতে বাংলাকে ভালোবেসে ফেলছেন। বাংলাও শিখেছেন নিজের চেষ্টাতেই।
আরও পড়ুন-জাসসির সেটে সেদিন শাহরুখ এসেছিলেন, সঙ্গে ছোট্ট আরিয়ান আর সুহানা, কী ঘটেছিল?
আরও পড়ুন-'নাম নয়, ইজ্জত চাই', মহালয়ার সকালে অঙ্কুশের বার্তায় জ্বলল আগুন
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্বেতা বলেন, ‘যেখানে থাকছি, সেখানকার সংস্কৃতিকে ভালোবাসব না তাও কি হয়! আমার এখানকার খাবার ও ভাষা সবটাই পছন্দের। ঠিক এই কারণেই নিজের ইচ্ছাতে বাংলাকে আপন করে নেওয়া।’ শ্বেতা বলেন, তিনি খেতে ভালোবাসেন, কিনে খেতে ভালোলাগে না, তাই অনেক রান্নাই শিখে ফেলেছেন। সুযোগ পেয়ে রচনা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘তা রান্না করে খাওয়ান কাকে?’ এমন প্রশ্নে অবশ্য লুকোছাপা না করে শ্বেতা মিশ্রা জানান, বিশেষ বন্ধুকে। শ্বেতা জানান, তাঁর বিশেষ বন্ধুটি খাবারের ব্যবসার সঙ্গেই যুক্ত। তাঁর এই বন্ধুটি আবার বাঙালিও, নাম উহ্য রেখে জানালেন তিনি হলেন মিস্টার সেনগুপ্ত। পাশ থেকে শোয়ে উপস্থিত শ্বেতার এক বন্ধু বলে বসেন, শুধু খাওয়ার জন্য নয়, ব্যবসার কাজে ভবিষ্য়তে হাত লাগানোর জন্যই রান্না শিখছেন শ্বেতা। এর উত্তরে অবশ্য শ্বেতা অকপটে স্বীকার করে নেন। ‘মারোয়াড়ি হয়ে ব্যবসা করব না তাও কি হয়! ব্যবসা আমার রক্তে।’
শ্বেতা জানান, মারোয়াড়ি পরিবারের মেয়ে হয়ে নিজে মাছ, মাংসা না খেলেও বিশেষ বন্ধুর জন্য মাছ, মাংস তিনি রান্না করতেও শিখে নিয়েছেন।