বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Prosenjit Durga Puja: পিসির থেকে বাড়ির সিকিওরিটি গার্ডের পুজোর জামা নিজে দেখে কেনেন প্রসেনজিৎ! ছেলেরটা কেনেন না কেন
এবার পুজোতে ‘প্রবীর রায়চৌধুরী’ হয়ে পর্দায় আসছেন 'ইন্ডাস্ট্রি' প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত প্রসেনজিতের 'দশম অবতার' নিয়ে সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। তবে সিনেমার বাইরে এবার পুজোয় কীভাবে কাটানোর পরিকল্পনা রয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের? পুজো নিয়ে Hindustan Times বাংলাকে নানান কথা জানালেন টলিপাড়ার সকলের প্রিয় 'বুম্বাদা'।
- এবার পুজোতে কী পরিকল্পনা?
- প্রসেনজিৎ: পুজোতে আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা থাকে না। এই ছবি রিলিজ নিয়েই কেটে যাবে। তবে পুজোতে একটা জিনিসই আমার আলাদা হয়, সেটা হল ভোগ খাওয়া। এটা থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখি না, কারণ সারা বছর এটার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। এবছরও সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী তিনদিন ভোগ খাব। তবে এই নয় যে রাতে প্রচুর বাইরের খাবার খাব, সেটা একেবারেই করি না। তবে পুজোতে পুরনো বন্ধুরা আসে, ওদের সঙ্গে আড্ডা দিই আর প্রচুর সিনেমা দেখি।
- ছোটবেলার পুজোর কোন স্মৃতি এখন সবথেকে বেশি মনে আসে?
- প্রসেনজিৎ: ছোটবেলার পুজোর আলাদা মজা ছিল। ছোটবেলায় তো মামাবাড়িতে পুজো হত। ওটা দারুণ আনন্দের ছিল। ওই সময়টা আর ফিরবে না। পুজোতে কোনও ভাই হয়তো ভালো জুতো পরেছে, সেটা লুকিয়ে রাখা! খুব মজার ছিল সেই দিনগুলো। আমাদের বাড়িতে প্রায় সব পুজোই হত। দুর্গাপুজো হত, নারায়ণ ভোজন হত। অনেক বাচ্চাকে খাওয়ানো হত। প্রায় এক হাজার বাচ্চা খেত। মায়েরা রান্না করতেন। সেই বাচ্চাদের পরিবেশন থেকে পাতা ফেলা, সব আমাদের দায়িত্ব ছিল। দাদামশাই এটা সমস্ত নাতি নাতনিদের শিখিয়েছিলেন। আমার বাবাও পরবর্তীকালে এই রীতি বাজায় রেখেছেন। আমার মা যতদিন বেঁচেছিলেন, তিনিও সেই রীতি পালন করে গিয়েছেন।
পুজোয় সকলের জামা নিজে কেনেন প্রসেনজিৎ, ছেলে শুধু বাদ!
আরও পড়ুন-অভিনয়, ফুটবল নাকি সিনেমা বানাতে চায় তৃষাণজিৎ! ছেলেকে নিয়ে কী বললেন 'বুম্বাদা'?
আরও পড়ুন-একজন ৫৭ অন্যজন ৬১, তবে বোঝার উপায় কই, ‘প্রসেনজিৎই টলিপাড়ার শাহরুখ’! কী বলছেন ‘বুম্বাদা’
আরও পড়ুন-'ইন্ডাস্ট্রি নই, আমি এখনও জ্যেষ্ঠপুত্র', বলছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
- পুজোতে কার কাছ থেকে কী উপহার পেলেন?
- প্রসেনজিৎ: পুজোর আগে থেকে মানে জন্মদিন থেকেই উপহার পাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আমার দুই মেয়ে, একজন দিতিপ্রিয়া, আরেকজন মোহর। ওরা উপহার দিয়েছে, সেগুলো পুজোয় পরব। আরও অনেক উপহার পেতেই থাকি। তবে আমার কাছে পুজোয় পাওয়ার থেকে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার সঙ্গে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের সকলের পুজোর উপহার গত ১০-১৪ বছর আমি নিজেই কিনি। কাউকে দিয়ে কিনিয়ে নেওয়া, এটা আমার পছন্দ নয়। সকলের জন্য নিজের হাতে কিনি। সে আমার পিসির (যিনি চলে গেলেন) শাড়ি হোক বা আমার বাড়ির দরজা যিনি খুলে দেন তাঁর জামা, সকলের উপহার নিজে কিনি। আমার একটা ঘর শুধু প্লাস্টিকে প্লাস্টিকে ভরে যায়।
- সময় পান?
- প্রসেনজিৎ: এটার জন্য সময় আমি রাত ২ টো হলেও দেব। বছরে একবার এটা আমি নিজে কিনি। কাকে কোনটা মানাবে, সেটা বুঝে। সেটা শাড়ি, পাঞ্জাবি, আমার টিমের জামাকাপড়। যার যেটা প্রয়োজন, কারওর হয়তো জামাকাপড়ের বদলে শীতের জিনিস প্রয়োজন, তখন সেটা কিনি।
- ছেলেকে পুজোতে কী দিলেন?
- প্রসেনজিৎ: ছেলেকে তো সারা বছরই উপহার দিচ্ছি। এই তো কয়েকদিন আগে মুম্বই এসেছিল, তখন ও ওর মতো করে কিনল। আগে আমি নিজেই কিনে দিতাম, কিন্তু এখন (হাতজোড় করে, কপালে ঠেকিয়ে) ওদের পছন্দের সঙ্গে আমাদের পছন্দ মেলাটা মুশকিল (হেসে)। পুরো নষ্ট হয় জিনিসটা। আর এখন তো ছেলের আর আমার সাইজ এক হয়ে গিয়েছে। হয়ত আমি একটা ভালো টি-শার্ট কিনলাম, তিনমাস পর যখন ওটা খুঁজছি, শুনলাম ছেলে নিয়ে চলে গিয়েছে। এটা এখন খুব সাধারণ ঘটনা। তাই ও ওর মতো করে কেনে। এবার হয়ত বলল বাবা, এবার না ১৫ অগস্ট একটা পাঞ্জাবি-পাজামা পাঠিও। তখন কেন কিনব, আমারই নতুন পড়ে থাকে পাঠিয়ে দিই (হেসে)। কারণ, জানি, ও ওই একদিনই পরবে ওটা।
বায়োস্কোপ খবর