চলতি বছরের মার্চ মাসে শাহরুখ খান তাঁর আগামী ছবি পাঠান কবে মুক্তি পাবে সেই দিন ঘোষণা করেন। এই ছবির হাত ধরেই তিনি দীর্ঘ ৪ বছর পর বড়পর্দায় ফিরতে চলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই শাহরুখের অগণিত ভক্তরা এই ছবির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
পাঠান ছবিটি পরিচালনা করেছেন সিদ্ধার্থ আনন্দ। এই ছবিতে কিং খানের সঙ্গে দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকোন এবং জন আব্রাহামকে। ফলে যে ছবিতে বলিউডের এই তিন দিকপাল অভিনেতা রয়েছেন সেই ছবি নিয়ে ভক্তদের গগনচুম্বী প্রত্যাশা থাকবে না তো কিসে থাকবে? এবং সবাই আশা করছেন এই ছবি বক্স অফিসে ঝড় তুলতে চলেছে আগামী দিনে।
আগামী বছর, অর্থাৎ ২০২৩ এর ২৫ জানুয়ারি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে পাঠান। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই কেআরকে, ওরফে কমল আর খান, যিনি একজন ফিল্ম সমালোচক তিনি জানান এই ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়বে। একদমই নাকি চলবে না পাঠান ছবিটি। কেআরকে এই বিষয়ে টুইট করে লেখেন যে, 'আক্কির দেশভক্তির ভূত এখন শাহরুখ খানের মধ্যে ঢুকেছে। তাই তাঁকে এখন দেশকে বাঁচাতে হবে।' একই সঙ্গে তিনি সেই টুইটে লেখেন, 'দেশকে বাঁচাতে চাইলে শাহরুখ খানের উচিত বর্ডারে গিয়ে চিনা সৈনিকদের সঙ্গে যুদ্ধ করা। সিনেমা হলে বসে ফ্রিয়ের জ্ঞান দেওয়া নয়।'
এরপর শাহরুখের এক ভক্ত যখন জানান পাঠান মাত্র ৫ দিনে ৩০০ কোটি রোজগার করবে বক্স অফিসে তখন কেআরকে তাঁকে ব্যঙ্গ করে বলেন, 'গত ৯ বছর ধরে শাহরুখের ভক্তরা একই কথা বলে আসছেন, আর শাহরুখ একটার পর একটা ফ্লপ ছবি করছেন। এবারও তাই হবে।' কেআরকে জানান পাঠান ছবিটি বক্স অফিসে যাতা রকমের খারাপ ফল করবে। এই নিয়েও তিনি একটি টুইট করেছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি বলেন, 'পাঠান যদি ফ্লপ না করে তাহলে আমি সিনেমা রিভিউ করা ছেড়ে দেব।'
অন্যদিকে সম্প্রতি শাহরুখ খান ৪১ তম শারজাহ আন্তর্জাতিক বইমেলায় গিয়েছেন। সেখানে একটি অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছেন, 'তিনি অহংকারী নন, কিন্তু আত্মবিশ্বাসী যে তাঁর আগামী তিনটি ছবিই বক্স অফিসে হিট করতে চলেছে।'
শাহরুখ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে জানান যে, 'এটা ঔদ্ধত্যপূর্ণ কোনও স্টেটমেন্ট নয়। আমি এটা বিশ্বাস করি। আমি সত্যি নার্ভাস নই। এটা একাট শিশুর বিশ্বাসের মতো যে আমি আমার সেরাটা দিয়েছি, সেরাটা তৈরি করেছি এবং তার ফল আমি পাব।'
ফায়ে ডিসুজার সঙ্গে একটি কথপোকথনে কিং খান উত্তর দিয়েছেন যে তাঁর কথা শুনে হয়তো তাঁকে অহংকারী মনে হতে পারে কিন্তু সেটা নয়। শাহরুখ খান বলেন, 'মানুষ ভাববে আমি অহংকারী যদি আমি এই উত্তরটা দিই। তবে আমি সৎভাবে বলছি, আমার মনে হয় না আমার চিন্তার করার বা আমার আগামী ছবি নিয়ে নার্ভাস হওয়ার কিছু আছে। এই প্রতিটা ছবিই সুপারহিট হতে চলেছে।' একই সঙ্গে কিং খান বলেন, 'কেউ মনে করবেন না যে আমি অহংকারের সঙ্গে কথা বলছি। আসলে আমি এটা বিশ্বাস করি। এই বিশ্বাস নিয়েই আমি ঘুমাই, ঘুম থেকে উঠি। আর এই বিশ্বাসের জোরেই আমি ৫৭ বছর বয়সে এসেও স্টান্ট করি, লাফাই, দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করি। কারণ আমার মধ্যে যদি বিশ্বাস না থাকত তাহলে আমি কাজগুলো কিছুই করতে পারতাম না।'
আগামী বছর বড়পর্দায় শাহরুখ খানের তিনটি ছবি মুক্তি পেতে চলেছে, পাঠান, জওয়ান এবং ডানকি। তাঁকে শেষ জিরো ছবিতে দেখা গিয়েছিল ২০১৮ সালে। আবার তিনি তাঁর ম্যাজিক নিয়ে আগামী বছর ফিরছেন। তবে এই বছর ব্রহ্মাস্ত্র ছবিতে তাঁকে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা গিয়েছে।
বলিউডের বাদশাহ জানান, তিনি নিজেকে আরও একবার পর্দায় দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন। এই ছবিতে শাহরুখ খান র এর এজেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করবেন।