ছোট্ট মেয়ে এখন পরের ঘরের! এ কথা ভেবেই চোখের জল বাধ মানেনি আমিরের। মেয়ে আইরার বিয়েতে বারবার আবেগপ্রবণ হতে দেখা গিয়েছে বলিউডের এই সুপারস্টারকে। মেয়ের রেজিস্ট্রি বিয়ের দিন হোক কিংবা উদয়পুরের হোয়াইট ওয়েডিং, আমিরের চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছে বারবার। তবে বাবার চোখের জলকে ‘কুমিরের কান্না’ (ফেক কান্না) বলে বসলেন আইরা খান স্বয়ং! আরও পড়ুন-কাঁদছেন আমির, শক্ত করে হাত ধরল প্রাক্তন স্ত্রী, ভাইরাল আইরার বিয়ের অদেখা ঝলক
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভীষণ অ্যাক্টিভ আইরা। বিয়ের নানান মুহূর্ত ইনস্টা ফলোয়ারদের সঙ্গে আগেই ভাগ করে নিয়েছেন আমির কন্যে। সম্প্রতি নিজের বিয়ের কিছু অদেখা আর মজার মুহূর্ত ইনস্টা স্টোরিতে পোস্ট করেন আইরা। গত ৩রা জানুয়ারি মুম্বইয়ে সইসাবুদ করে নূপুর শিখরেকে বিয়ে করেন আইরা। বিয়ের আসরে গেঞ্জি আর শর্টস পরে দৌড়ে হাজির হয়েছিলেন আইরার ফিটনেস কোচ বর। সেই দৃশ্য আগেই সাড়া ফেলেছিল। বিয়ের রেজিস্ট্রি পেপার সই করার মুহূর্তে ঠিক কী ঘটেছিল, তার ঝলক দেখালেন এই স্টারকিড।
মেয়ে যে সময় রেজিস্ট্রি ম্যারেজের কাগজে স্বাক্ষর করছে, তখন চোখের জল মুছছেন আমির। এই ছবির বিবরণীতে আমির কন্যে লেখেন, ‘এটা মিথ্যে কান্না… আসল কান্না শীঘ্রই আসবে’।
অপর ছবিতে আইরার বর নূপুর ও আমিরকে বেশ লজ্জা পেয়ে হাসতে দেখা গেল। কী ঘটেছিল সেই সময়? খোলসা করেছেন আইরা। তিনি লেখেন, ‘মাইকের খুব কাছে একটা অসঙ্গত মন্তব্য করা হয়েছিল’। সেই কারণেই লজ্জায় লাল সকলে!

আমিরের কান্না নাকি মিথ্যে! দাবি আইরার
মেয়ের বিয়ে নিয়ে জানুয়ারির গোড়া থেকেই আমিরের পরিবারে খুশির আমেজ। মুম্বইতে মাসের একদম গোড়ায় আইনি বিয়ে সেরেছিলেন ইরা খান ও নূপুর শিখরে। তারপর উদয়পুরে খ্রিস্টান রীতিমেনে ডেস্টিনেশন বিয়ে। মেহেন্দি, সঙ্গীতেই আটকে থাকেনি ইরার প্রাক-বিয়ের অনুষ্ঠান। পাজামা পার্টি করেছেন বর-কনে। ব্রা আর শর্টসে ফুটবল ম্যাচ খেলতেও দেখা গিয়েছে ইরা খানকে। এরপর গত ১৩ই জানুয়ারি মুম্বইয়ে বসেছিল ইরা-নূপুরের বিয়ের গ্র্যান্ড রিসেপশন।
উদয়পুরের মেয়ের খ্রিস্টান রীতিতে বিয়ের সময়ও কেঁদেছেন আমির। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে শ্বেতশুভ্র পোশাকে বিয়ের ভেনুতে হেঁটে আসছেন আইরা, সঙ্গী বাবা-মা। সামনে দাঁড়িয়ে চুমু ছুড়ে দিচ্ছেন নূপুর। মায়াবী পরিবেশে বিয়ের আগে আইরা ও নূপুর একে-অপরের জন্য উচ্চারণ করেন প্রতিশ্রুতি। আইরাকে কেন ভালোবাসেন? জবাব দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ নুপূর। বলেন, ‘তোমাকে বিয়ে করা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত’। অন্য দিকে আমির-কন্যা বরকে নিজের ‘সেফ স্পেস’ বলে উল্লেখ করেন। মেয়ে-জামাইয়ের এই রোম্যান্টিক মুহূর্ত দেখে চোখের জল বাধ মানেনি আমিরের। কেঁদে ফেলেন তিনি। ওমনি আমিরের হাত শক্ত করে ধরেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, দুই সন্তানের মা রিনা দত্ত।
আইরার চোখে বাবার এই কান্নাটা কি ‘আসল’ না এটাও ‘নকল’? তার জবাব অবশ্য মেলেনি।