Amir-Reena: কাঁদছেন আমির, শক্ত করে হাত ধরল প্রাক্তন স্ত্রী, ভাইরাল আইরার বিয়ের অদেখা ঝলক

Amir-Reena: মেয়ের বিয়ে দিতে গিয়ে কান্না আমিরের। সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এল রিনার হাত। প্রাক্তন জুটির পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর সম্মান দেখে মুগ্ধ নেটপাড়া।

বিবাহ বিচ্ছেদ কি সত্যি প্রেমকে ভুলিয়ে দেয়? হয়তো নয়। আমির কন্যা আইরার বিয়ের অনুষ্ঠান জুড়ে যেন সেই কথায় বারবার প্রমাণ হল। আমির খানের পরিবার একদম অনন্য সে কথা তো কারুর অজানা নয়। তাই তো দুই প্রাক্তন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে মেয়ের বিয়ে দিলেন আমির। আইরার বিয়ের অনুষ্ঠান একদিকে যেমন কিরণের গালে চুমু আঁকলেন আমির, তেমনই কান্নায় ভেঙে পড়লে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে গেলেন রিনা। 

গত ৩রা মার্চ মুম্বইয়ে আইনি বিয়ের পর্ব সারেন আমির কন্যে। বাবার ফিটনেস কোচ তথা প্রেমিক নূপুর শিখরের সঙ্গে সই-সাবুদ করে বিয়েটা মিটিয়ে নেন। তারপর উদয়পুরে বসেছিল আইরা-নূপুরের বিয়ের সেলিব্রেশন। সেখানে খ্রিস্টান রীতিতে চার হাত এক হয় দুজনের। সেই রাজকীয় বিয়ের অদেখা ঝলক সামনে এল এবার। 

শ্বেতশুভ্র পোশাকে বিয়ের ভেনুতে হেঁটে আসছেন আইরা, সঙ্গী বাবা-মা। সামনে দাঁড়িয়ে চুমু ছুড়ে দিচ্ছেন নূপুর। মায়াবী পরিবেশে বিয়ের আগে আইরা ও নূপুর একে-অপরের জন্য উচ্চারণ করেন প্রতিশ্রুতি। আইরাকে কেন ভালোবাসেন? জবাব দিতে গিয়ে আবেগপ্রবণ নুপূর। বলেন, ‘তোমাকে বিয়ে করা আমার জীবনের অন্যতম সেরা সিদ্ধান্ত’। অন্য দিকে আমির-কন্যা বরকে নিজের ‘সেফ স্পেস’ বলে উল্লেখ করেন। মেয়ে-জামাইয়ের এই রোম্যান্টিক মুহূর্ত দেখে চোখের জল বাধ মানেনি আমিরের। কেঁদে ফেলেন তিনি। ওমনি আমিরের হাত শক্ত করে ধরেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী, দুই সন্তানের মা রিনা দত্ত। 

বিয়ে শেষ হতেই একে-অপরের ঠোঁটে ঠোঁট ডোবাতে দেখা গেল আইরা-নুপূরকে। বিয়ের অনুষ্ঠান শেষ হতেই গোটা পরিবারকে হৃদয় উজার করে নাচতে দেখা যায়। আমির নিজের মেয়ের সঙ্গে নাচলেন, নাচলেন প্রথম স্ত্রী রিনার সঙ্গে, এমনকী নুপূরের মায়ের সঙ্গেও নাচতে দেখা গেল তাঁকে।

অনেকেই হয়ত জানেন না, ভালোবেসে ১৯ বছরের রিনাকে বিয়ে করেছিলেন বছর ২১-এর ঝকঝকে যুবক আমির। তাঁদের প্রেম কাহিনি কোনও ফিল্মের গল্পের চেয়ে কম রোমাঞ্চক নয়। পাশের বাড়ির মেয়ে রিনার সৌন্দর্যে ছেলেবেলা থেকেই বুঁদ ছিলেন আমির। ঠায় জানলার ধারে ওত পেতে বসে থাকতেন রিনার এক ঝলক পাওয়ার জন্য।

সাহস করে মনের কথা বলেও ছিলেন। কিন্তু সটান ‘না’ বলে দেন রিনা। বার কয়েক প্রোপোজ করার পরেও রিনা তরফে নেতিবাচক জবাবই এসেছিল। রক্ত দিয়ে প্রেমপত্র লেখার পাগলামিও করেছিলেন আমির, আরও রেগে যান রিনা। কিন্তু মন গলতে বেশি সময় লাগেনি। আমিরকে ভালোবাসার কথা শেষমেশ স্বীকার করে নেন রিনা। দেরি করেননি আমির। নিকাহ সেরে ফেলেছিলেন ফিল্মি কেরিয়ারের একদম গোড়ায়। তখনও মুক্তি পায়নি কয়ামত সে কয়ামত তক। ১৯৮৬ সালে বিয়ে হয়েছিল রিনা-আমিরের। ২০০২ সালে ১৬ বছর দীর্ঘ দাম্পত্যে ইতি টানেন দুজনে। তাঁদের দুই সন্তান ইরা খান ও জুনেইদ খান।

ভালোবেসেই বাবার ফিটনেস ট্রেনার নূপুরকে বিয়ে করেছেন আইরা। মায়ের মতোই ভিন ধর্মে বিয়ে তাঁর। রয়েছে বয়সের ফারাকও।